জিআই পণ্যের তালিকা করতে সরকারকে নির্দেশ

টাঙ্গাইলের শাড়ি নিয়ে আলোচনা শুরু হওয়ার পর এবার বাংলাদেশের জিওগ্রাফিক্যাল আইডেন্টিফিকেশন (জি আই) বা ভৌগোলিক নির্দেশক পণ্যের তালিকা করতে সরকারকে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। সরকারের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়কে আগামী ১৯ মার্চের মধ্যে এ তালিকা করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

জনস্বার্থে করা এক রিট আবেদনের প্রেক্ষিতে সোমবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) বিচারপতি মুহাম্মদ খুরশীদ আলম সরকার ও বিচারপতি সরদার মো. রাশেদ জাহাঙ্গীর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। একইসঙ্গে জিআই পণ্যের তালিকা তৈরি ও রেজিস্ট্রেশনে কর্তৃপক্ষের ব্যর্থতা কেন অবৈধ হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন আদালত।

আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে বাণিজ্য সচিব, কৃষি সচিব, সংস্কৃতি সচিবসহ সংশ্লিষ্টদের এ রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে। আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার সারোওয়াত সিরাজ শুক্লা। এর আগে রোববার (১৮ ফেব্রুয়ারি) বাংলাদেশের সব জিআই পণ্যের তালিকা তৈরির নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে জনস্বার্থে রিট করেন ব্যারিস্টার সারোওয়াত।

বাংলাদেশের টাঙ্গাইল শাড়ি ভারতের জি আই পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি পাওয়ার পর নতুন করে আলোচনা শুরু হয়েছে বাংলাদেশের জি আই পণ্য নিয়ে। এরপর ৮ ফেব্রুয়ারি টাঙ্গাইল শাড়িকে জিআই পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি দেয় বাংলাদেশের শিল্প মন্ত্রণালয়।

গত কয়েক বছরে বাংলাদেশের মোট ২১টি পণ্য জি আই হিসেবে নিবন্ধিত হলেও মোট ১৪টি পণ্যের জন্য নতুন করে আবেদন করা হয়েছে। এ ছাড়া আবেদনের প্রক্রিয়ায় আছে আরও দুটি পণ্য। কোনো পণ্যের জন্য আবেদন করার অর্থ এই নয় যে সেগুলো জি আই সনদ পাওয়ার মতো যোগ্য বা পাবেই। নানারকম পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর নির্ধারিত হয় যে কোন পণ্য এই তালিকায় উঠবে। যাচাই-বাছাইয়ের পর এগুলোর কোনওটি যদি জি-আই সনদ পেয়ে যায়, তাহলে তখন সেগুলো বাংলাদেশের নিজস্ব পণ্য হিসেবে বিশ্ব দরবারে পরিচিতি লাভ করবে।

অর্থসূচক/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.