‘রাজধানীতে ছয় হাজার ৩৭২টি পরিত্যক্ত বাড়ি রয়েছে’

রাজধানীতে ছয় হাজার ৩৭২টি পরিত্যক্ত বাড়ি রয়েছে। পরিত্যক্ত বাড়ি সবচেয়ে বেশি মিরপুর এলাকায়। আজ বুধবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় সংসদের প্রশ্নোত্তর পর্বে ঢাকা-১৯ আসনের মুহম্মদ সাইফুল ইসলামের প্রশ্নের জবাবে এ তথ্য জানান গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী র. আ. ম. ওবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী। স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে প্রশ্নোত্তর টেবিলে উপস্থাপিত হয়।

মন্ত্রী জানান, পরিত্যক্ত বাড়ি সবচেয়ে বেশি মিরপুর এলাকায়। মিরপুরে তিন হাজার ৫৮২টি পরিত্যক্ত বাড়ি রয়েছে। সংখ্যার দিক থেকে দ্বিতীয় অবস্থানে মোহাম্মদপুর। এখানে রয়েছে এক হাজার ৫৪২টি পরিত্যক্ত বাড়ি। এছাড়া অন্য পরিত্যক্ত বাড়িগুলোর মধ্যে গুলশানে ১২৮টি, বনানীতে ৯টি, মগবাজারে ৬২টি, তেজগাঁওয়ে ৩৬, নাখালপাড়ায় ১৯টি, ক্যান্টনমেন্টে ২৬টি, বাসাবো ৩৮টি, শাহাজানপুরে ১০টি, খিলগাঁওয়ে ১২টি, জুরাইনে দুটি, মতিঝিলে ৭২টি, রমনায় ১৫৮টি, সূত্রাপুরে ৩২০টি, লালবাগে ১৭৪টি, কোতোয়ালিতে ৪৬টি, ধানমণ্ডিতে ৮৮টি, লালমাটিয়ায় ২৫টি, যাত্রাবাড়ীতে চারটি ও মানিকনগরে রয়েছে একটি।

এদিকে পরিত্যক্ত বাড়ির মধ্যে নির্মাণ প্রতিষ্ঠান হিসেবে চারটি ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান হিসেবে ২০টি ব্যবহৃত হচ্ছে জানিয়ে গৃহায়ণমন্ত্রী বলেন, সংরক্ষিত পরিত্যক্ত বাড়িতে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আবাসিক ফ্ল্যাট নির্মাণকাজে ব্যবহার হচ্ছে এবং কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য ভাড়াভিত্তিক বরাদ্দ করা হচ্ছে। বিক্রয়যোগ্য পরিত্যক্ত বাড়িগুলো প্রধানমন্ত্রীর অনুমতিতে বিভিন্ন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান, শহীদ পরিবার, যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা ও বরাদ্দপ্রাপ্তদের কাছে বিক্রি করা হচ্ছে।

মন্ত্রী আরও জানান, গত তিন অর্থবছরে ঢাকা শহরের পরিত্যক্ত বাড়ি হতে ১২ কোটি ৬৮ লাখ ১৬ হাজার ৪২৯ টাকা ভাড়া আদায় হয়েছে। এ সময় বিক্রি থেকে মূল্য আদায় হয়েছে ২ কোটি ৩১ লাখ ২ হাজার ৭৩৭ টাকা।

অর্থসূচক/এমএস

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.