বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষীর সংখ্যা বেড়ে ১১৩

বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম সীমান্তে ওপারে মিয়ানমারের সরকারি বাহিনী ও বিদ্রোহী আরাকান আর্মির মধ্যে চলমান সংঘর্ষের জেরে এখন পর্যন্ত মিয়ানমার সীমান্তরক্ষী বাহিনী বর্ডার গার্ড পুলিশের (বিজিপি) ১১৩ জন সদস্য অস্ত্রসহ বাংলাদেশে পালিয়ে এসেছেন।

মঙ্গলবার (৬ ফেব্রুয়ারি) সকালে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. শরিফুল ইসলাম এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছেন।

তিনি জানান, বিজিপি সদস্যদের নিরস্ত্রীকরণ করে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলায় নিরাপদ স্থানে আশ্রয় দেওয়া হয়েছে। বিজিবি তাদের নিরস্ত্রীকরণ করে নিরাপদ আশ্রয়ে নিয়েছে।

এদিকে চলমান এই সংঘর্ষ ঘিরে শিশুদের নিয়ে অনেক পরিবার পায়ে হেঁটেই রাখাইন ছাড়ছে। তাদের কেউ কেউ ছোট থলেতে করে খাবার ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় কিছু জিনিস বহন করছে।

এর আগে গতকাল মিয়ানমার থেকে ছোড়া মর্টারশেলে বান্দরবানের এক বাংলাদেশি নারী ও এক রোহিঙ্গা নাগরিক নিহত হয়েছেন। সোমবার (৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ইউপির ৪ নম্বর ওয়ার্ডের জলপাইতলি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ ছাড়া গোলাগুলির সময় নাইক্ষ্যংছড়ির তমব্রু এলাকায় বেশ কয়েকটি মর্টারশেল এসে পড়ে। এতে ওই এলাকার যুধিষ্ঠির ধরের ছেলে প্রবীর ধর নামের একজন আহত হন।

২০২১ সালে অভ্যুত্থানের মাধ্যমে জান্তার রাষ্ট্রক্ষমতা দখলের পর এ সংঘাত বেড়ে যায়। বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্বাংশে মিয়ানমারের সঙ্গে দীর্ঘ সীমান্ত রয়েছে। গত পাঁচ দশকেরও বেশি সময় ধরে মিয়ানমারে সামরিক বাহিনীর সঙ্গে দ্বন্দ্ব-সংঘাত চলছে দেশটির বিভিন্ন সশস্ত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠীর।

অর্থসূচক/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.