পার্থ টেস্টে ২ উইকেট হারিয়ে ১৩২ রান নিয়ে দ্বিতীয় দিনের খেলা শেষ করেছিল পাকিস্তান। অস্ট্রেলিয়ার করা ৪৮৭ রানের জবাবে ভালো শুরু পাওয়ার ফলে বড় সংগ্রহের স্বপ্ন দেখেছিল শান মাসুদের দল। তবে দুই সেশনেই এলোমেলো হয়ে গেল পাকিস্তানের ইনিংস। এদিন ১৩৯ রান তুলতেই তারা বাকি ৮ উইকেট হারায়। তাতে করে পাকিস্তানের প্রথম ইনিংস থামে ২৭১ রানে। ফলে প্রথম ইনিংসে ২১৬ রানের লিড পায় অস্ট্রেলিয়া। দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে ২ উইকেট হারিয়ে ৮৪ রান করে তৃতীয় দিনের খেলা শেষ করেছে অজিরা। তৃতীয় দিন শেষে অস্ট্রেলিয়া পাকিস্তানের চেয়ে ৩০০ রানে এগিয়ে আছে।
ওপেনার উসমান খাওয়াজা ৩৪ ও স্টিভেন স্মিথ ৪৩ রান নিয়ে অপরাজিত আছেন। দ্বিতীয় ইনিংসে শুরুটা ভালো হয়নি অজিদের। তারা দলীয় ৫ রানের মধ্যেই দুই উইকেট হারিয়ে ফেলেছিল। আগের ইনিংসের সেঞ্চুরিয়ান ডেভিড ওয়ার্নার আউট হয়েছেন খুররম শাহজাদের একটু বাড়তি বাউন্স পাওয়া বল পুল করতে গিয়ে মিড উইকেটে ইমাম উল হকের হাতে ধরা পড়ে। এরপর দ্রুত আউট হয়ে গেছেন মার্নাস ল্যাবুশেনও। তিনি ফিরেছেন মাত্র ২ রান করে শাহজাদের বাউন্স বলে পুল করতে গিয়ে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়ে। দিনের বাকি সময়টা বেশ ভালোভাবেই সামলেছেন স্মিথ ও খাওয়াজা। দুজনের ৭৯ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটিতে দারুণভাবেই দিনের খেলা শেষ করেছে অজিরা।
নাইট ওয়াচম্যান হিসেবে নামা শাহজাদকে বোল্ড করে তৃতীয় দিনে উইকেটের খাতা খুলেছিল অজিরা। এরপর বাবর আজমকে সাজঘরে ফেরান মিচেল মার্শ। তিনি ৫৪ বলে ২১ রান করে মার্শের বলে উইকেটের পেছনে অ্যালেক্স ক্যারিকে ক্যাচ দেন।
আগেরদিন ৩৮ রানে অপরাজিত থাকা ইমাম আজও ধৈর্য্য নিয়ে খেলা শুরু করেছিলেন। ১৯৯ বলে ৬২ রান করে ফেলেছিলেন তিনি। তবে নাথান লায়ককে ক্রিজ ছেড়ে বেরিয়ে চড়াও হয়ে খেলতে গিয়ে স্টাম্পিং হয়ে আউট হন পাকিস্তানের এই ব্যাটার। এরপরই মূলত বিপর্যয় শুরু হয় পাকিস্তানের। এরপর পাকিস্তানের নিচের সারির ব্যাটাররা খুব একটা প্রতিরোধ গড়তে পারেননি। সপ্তম উইকেটে আঘা সালমান ও সাউদ শাকিল ৬৬ বলে ৩৫ রান করলেও জুটি বড় করতে পারেননি। শাকিল ৪৩ বলে ২৮ রান করে আউট হন। আর সালমান ২৮ রান করে অপরাজিত থাকলেও তাকে কেউ সঙ্গ দিতে পারেননি। অজিদের হয়ে ৬৬ রানে ৩ উইকেট নেন লায়ন। প্যাট কামিন্স ও মিচেল স্টার্ক নেন ২টি করে উইকেট। একটি করে উইকেট নেন জস হ্যাজেলউড, মিচেল মার্শ ও ট্রাভিস হেড।
অর্থসূচক/এএইচআর



মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.