কাউকে অপবাদ দিয়ে বাদ দেয়া খারাপ নিদর্শন: পাপন

২০১১ সাল থেকে নির্বাচক প্যানেলে আছেন নান্নু এবং বাশার। শুরুতে আকরাম এবং পরবর্তীতে ফারুক আহমেদের সঙ্গে কাজ করেছেন মিনহাজুল। সেই সময় বাশার কাজ করেছেন নারী ক্রিকেটের নির্বাচক হিসেবে। ফারুক পদত্যাগ করায় প্রধান নির্বাচকের দায়িত্ব পান নান্নু। তখন থেকেই জাতীয় নির্বাচক প্যানেলে আছেন বাশারও। পরবর্তীতে এসে বাংলাদেশের নির্বাচক প্যানেলে যুক্ত হয়েছেন আব্দুর রাজ্জাক।

বেশ কয়েকবার চাকরি হারানোর শঙ্কায় থাকলেও শেষ পর্যন্ত টিকে গেছেন নান্নু ও বাশার। এবারের বিশ্বকাপে ভালো না করায় দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি পেতে পারেন তারা দুজন। এমন গুঞ্জন আছে মিডিয়ায়। যদিও তাদের নিয়ে এখনই কোনো সিদ্ধান্ত নেয়নি বিসিবি। এদিকে তাদেরকে বাদ দেয়ার জন্য বেশ কিছু মিডিয়া একেবারে উঠে-পড়ে লেগেছেন। বাংলাদেশের ব্যর্থতার পেছনে তাদের দায় নিশ্চই কিছুটা রয়েছে। তবে সেটাকে কেন্দ্র করে নান্নুদের যেভাবে ব্যক্তিগত আক্রমণ সেটা খুব ভালো কিছুর ইঙ্গিত দেয় না।

গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে বিসিবি সভাপতি পাপন বলেন, ‘দেখুন, আপনাদের জন্য বলছি আরকি। নির্বাচক প্যানেল বদলাতে পারে, এটা তো স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। কথাটা হচ্ছে আমি আপনাদের বিশ্বকাপের আগে প্রশ্নগুলো করেছিলাম যদিও কেউ উত্তর পাঠায়নি। তাদের কাছে চেয়েছিলাম যে আপনাদের পছন্দের স্কোয়াডটা বলেন। নির্বাচকের কাজ যদি খেলোয়াড় নির্বাচন করা হয় আমি যেভাবে দেখি। ছোট তামিমকে (তানজিদ তামিম) খালি বাদ দেই। কারণ সেখানে তামিম ইকবালের যাওয়ার কথা। শেষ মুহূর্তে গিয়ে সে ওপেন করছে। এখানে গেছে লিটন দাস, শান্ত, সাকিব, মুশফিক,তাওহীদ হৃদয়, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, মিরাজ। আমি বোলারদের ধরলাম না। কাকে বাদ দিলে আপনারা খুশি হতেন, আমাকে যদি একটা-দুইটা নাম বলতেন। আজ পর্যন্ত কেউ নাম বলে না। আর বলে নির্বাচক তার সব দোষ। কাউকে বাদ দেয়নি দেখেই দোষ। কাকে বাদ দিলে আপনারা বলতেন খুব ভালো হয়েছে। এই উত্তরটা না পেলে আমাদের জন্য সিদ্ধান্ত নেয়া কঠিন। আমি যে জিনিসটা বলতে চাচ্ছি এটা একটা স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। পরিবর্তন হয়, অনেকদিন হয়েছে, সবসময় পরিবর্তন হওয়াটা ভালো। কাউকে অভিযোগ দিয়ে বাদ দেয়া, মিথ্যা অপবাদ দিয়ে বাদ দেয়া খারাপ নিদর্শন তৈরি করে।’

মিডিয়াতে নির্বাচকদের সমালোচনা কিংবা তাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অপবাদ দেয়ার আগে সেটার পেছনে উল্লেখযোগ্য কারণ দেখাতে বলছেন পাপন। তিনি বলেন, ‘আপনাদের এই জিনিসটা করার আগে একটা কারণ দেখাতে হবে, এই কারণে। কিন্তু আপনারা যে কারণগুলো বলছেন, শান্ত রান করতে পারেনি এটা ভিন্ন ইস্যু। সে আমাদের অন্যতম সেরা ব্যাটার। এটা তো অস্বীকার করার উপায় নেই, সে রান করে যাচ্ছিলো। লিটন দাসের সামর্থ্য আমরা জানি। সাকিবকে বাদ দিতো, মুশফিককে বাদ দিতো? মানে বাদটা দিতো কাকে। এই যে কথাগুলো বলে মানুষ, কিন্তু কেন এটা আর বলে না। কিন্তু সব দোষ নির্বাচকের।’

বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) আগে বোর্ড সভায় বসবেন ডিরেক্টররা। যেখানে সিদ্ধান্ত আসতে পারে প্রধান কোচ চান্ডিকা হাথুরুসিংহে, নির্বাচক নান্নু-বাশারদের নিয়ে। নান্নুরা চাকরি হারালে নতুন নির্বাচক খুঁজতে হবে বিসিবিকে। বোর্ড সভাপতির কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল বাংলাদেশের নির্বাচক হওয়ার জন্য কী ধরনের যোগ্যতা থাকতে হবে। এমন প্রশ্নের জবাবে পাপন বলেন, ‘এরকম আসলে কিছু (ক্রাইটেরিয়া) নেই।’

অর্থসূচক/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.