ভারতকে ২৫৭ রানের টার্গেট দিলো বাংলাদেশ

বিশ্বকাপের সবচেয়ে হাইভোল্টেজ ম্যাচের প্রশ্ন উঠলে সবার আগে ভারত-পাকিস্তান ম্যাচের কথা মাথায় আসবে। তবে সময়ের সাথে এই দুইদলের লড়াইটা এখন অনেকটাই একপেশে। বরং ভক্তদের মতে বাংলাদেশ-ভারত ম্যাচ এখন বেশি রোমাঞ্চকর ও প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ। ব্যাট হাতে ভারতের বিপকে সেই চমক আরেকবার দেখালো বাংলাদেশ। বিশ্বকাপের মঞ্চে ভারতকে আজ ২৫৭ রানের চ্যালেঞ্জ দিল লাল-সবুজের দল।

আজ বৃহস্পতিবার (১৯ অক্টোবর) পুনেতে টস জিতে আগে ব্যাটিংয়ে নেমে ৫০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে স্কোরবোর্ডে ২৫৬ রান তোলে বাংলাদেশ। ব্যাট হাতে সর্বোচ্চ ৬৬ রান করেন লিটন দাস।

নিয়মিত অধিনায়ক সাকিব আল হাসানকে ছাড়াই ভারতের বিপক্ষে মাঠে নামতে হয়েছে বাংলাদেশকে। চোটশঙ্কা থাকায় তাকে নিয়ে ঝুঁকি নিতে নারাজ টিম ম্যানেজমেন্ট। তার জায়গায় অধিনায়কের দায়িত্ব নেন নাজমুল হোসেন শান্ত।

পুনের ব্যাটিংবান্ধব উইকেটে দারুণ শুরু করে বাংলাদেশ। দুই ওপেনার তানজিদ তামিম ও লিটন দাস মিলে ভারতীয় বোলারদের তুলোধুনো করে গড়েন ৯৩ রানের ওপেনিং জুটি। একটা সময় মনে হচ্ছিল বড় সংগ্রহ গড়তে যাচ্ছে বাংলাদেশ। তবে হুট করেই ছন্দপতন!

দলীয় ৯৩ রানে তামিমের বিদায়ে প্রথম উইকেট হারায় বাংলাদেশ। কুলদীপ যাদবের বলে এলবিডব্লিউ হয়ে ৪৩ বলে ৫১ রান করে ফেরেন বাঁহাতি এই ব্যাটার। যা বিশ্বকাপে তামিমের প্রথম হাফ সেঞ্চুরি।

তামিমের বিদায়ের পর উইকেটে এসে থিতু হতে পারেননি অধিনায়ক শান্ত। দলীয় ১১০ রানের মাথায় জাদেজার বলে এলবিডব্লিউ হয়ে সাজঘরে ফেরেন বাঁহাতি ব্যাটার। ১৭ বল খেললেও ৮ রানের বেশি করতে পারেননি চলতি বিশ্বকাপে ব্যাট হাতে এখনও জ্বলে উঠতে পারেননি তিনি।

এরপর সাম্প্রতিক সময়ে টপঅর্ডারে দারুণ ব্যাটিং করা মেহেদী মিরাজ অবশ্য এই ম্যাচে ছন্দ ধরে রাখতে পারেননি। দলীয় ১২৯ রানে মোহাম্মদ সিরাজের ব্যাক অফ লেন্থ ডেলিভারিতে লেগ সাইডে খেলতে গিয়ে উইকেটের পেছনে কেএল রাহুলের গ্লাভসে তালুবন্দী হন মিরাজ। সাজঘরে ফেরার আগে করেন ১৩ বলে ৩ রান।

দ্রুত তিন উইকেটে হারিয়ে কিছুটা চাপে পড়ে বাংলাদেশ। সেই চাপ আরও বাড়ে লিটনের বিদায়ে। মাঝে ব্যাট হাতে চলতি বিশ্বকাপে নিজের দ্বিতীয় হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন লিটন। তবে ফিফটি হাঁকিয়ে আর বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি এই ডানহাতি ব্যাটার। দলীয় ১৩৭ রানে জাদেজার বলে লং অফের ওপর দিয়ে তুলে মারতে গিয়ে শুভমান গিলের হাতে ধড়া পড়েন লিটন।

এরপর তাওহিদ হৃদয়কে নিয়ে জুটি গড়েন অভিজ্ঞ মুশফিকুর রহিম। এই দুইজনের ৪২ রানের জুটিতে কিছুটা চাপ সামাল দেয় বাংলাদেশ। তবে দলীয় ১৭৯ রানের বাজে শটের খেসারত দেন তাওহিদ। ৩৫ বলে ১৬ রান করে গিলের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন।

হৃদয়ের বিদায়ের পর অভিজ্ঞ মাহমুদউল্লাহকে নিয়ে জুটি গড়েন মুশফিক। অবশ্য এই জুটিও খুব একটা বড় হয়নি। দলীয় ২০১ রানের মাথায় বুমরাহ এর বলে ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্টে জাদেজার হাতে ধড়া পড়েন মুশফিক। ৪৬ বলে ৩৮ রান করেন ডানহাতি এই ব্যাটার। মুশফিকের বিদায়ের পর লেজের সারির ব্যাটারদের নিয়ে লড়াই চালিয়ে যান মাহমুদউল্লাহ। তাঁর ব্যাটে চড়ে শেষ পর্যন্ত ২৫৬ রান সংগ্রহ করে বাংলাদেশ। ৩৬ বলে ৪৬ রান করেন মাহমুদউল্লাহ।

অর্থসূচক/এমএস

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.