তত্ত্বাবধায়ক সরকার চাইলে পাকিস্তান চলে যান: ওবায়দুল কাদের

বিএনপি নেতাদের উদ্দেশ্য করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকার চাইলে পাকিস্তানে চলে যান। পৃথিবীতে একটি দেশেই তত্ত্বাবধায়ক সরকার রয়েছে, সে দেশ পাকিস্তান। সেখানে আপনারা চলে যান। না হয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের ভূত মাথা থেকে নামিয়ে নির্বাচনের পথে আসুন। তা নাহলে বিএনপির আম-ছালা সব যাবে।’

বৃহস্পতিবার (১৭ আগস্ট) বিকেলে বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে এক সমাবেশে এসব কথা বলেন তিনি। ১৭ আগস্ট সিরিজ বোমা হামলার প্রতিবাদে এ সমাবেশের আয়োজন করে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ আওয়ামী লীগ।

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘ফখরুল সাহেব ইতিহাস ভুলে গেছেন? অবাক লাগে, যখন মির্জা ফখরুল বলেন, আওয়ামী লীগ জিয়া পরিবারকে নিশ্চিহ্ন করার জন্য ষড়যন্ত্র করছে। যাদের চক্ষুলজ্জা নেই, তারা দিনের আলোকে অন্ধকার বলতে পারে। বিএনপি কি ভুলে গেছে, ১৫ আগস্টের কথা। রক্তের স্রোতে ভেসে গেছে বঙ্গবন্ধু পরিবারের সবাই। এ মাসটি আমাদের জন্য রক্তক্ষরণের মাস। এ মাসে আমাদের বেদনা অশ্রু গড়িয়ে পড়ে। এই মাসে ভয়াল ট্র্যাজেডির স্মৃতি আমাদের স্মরণ করিয়ে দেয়।’

তিনি বলেন, ‘সেদিনের (১৫ আগস্টের) সে রক্তের দাগ বিএনপির হাতে আজও আছে। বিএনপি এখনো চেষ্টা করছে শেখ হাসিনাকে হত্যা করতে। আল্লাহ যাকে রাখে তাকে কেউ সরাতে পারে না। শেখ হাসিনার শেকড় বাংলার মাটির অনেক গভীরে। শেখ হাসিনার ওপর আল্লাহ রহমত আছে। এই দেশের মানুষের দোয়া আছে।’

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘বিএনপি এখনো সন্ত্রাসের রাজনীতি করে। যে জেএমবি সিরিজ বোমা হামলা চালিয়েছে, তাদের বিশ্বস্ত ঠিকানা হচ্ছে বিএনপি।’

এ সময় বিএনপি নেতাদের উদ্দেশ্যে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘খালেদা জিয়ার জন্য ৫০০ লোকের একটা মিছিল করতে পারেন নাই। এখন চোখের পানি ফেলছেন। আমীর খসরু, মির্জা ফখরুলের চোখমুখ শুকিয়ে গেছে।’

বিএনপি যতদিন বাংলাদেশে থাকবে ততদিন সব অপশক্তি বিএনপির নেতৃত্বে বাংলাদেশ ধ্বংসের ষড়যন্ত্র করবে বলেও দাবি করে ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে কোথা থেকে কোথায় নিয়ে এসেছেন? ১৫ বছর আগের বাংলাদেশ আর আজকের বাংলাদেশ দেখেন। অন্ধকার থেকে আলোকিত করেছেন শেখ হাসিনা। যেখানে মানুষ অভাব অনটনে ছিল, মানুষ অন্ধকারে ছিল, সেই বাংলাদেশকে আজ উন্নত সমৃদ্ধ বাংলাদেশে রূপান্তরিত করেছেন।’

সভায় সভাপতিত্ব করেন ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ বজলুর রহমান। আরও বক্তব্য দেন- আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ড. আব্দুর রাজ্জাক, মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বীর বিক্রম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, এস এম কামাল হোসেন প্রমুখ।

অর্থসূচক/এমএস

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.