সুদের হার বাড়িয়ে মূল্যস্ফীতি কমিয়েছে অনেক দেশ: এমসিসিআই

বিশ্বের যেসব দেশ সুদের হার বাড়িয়েছে তারা মূল্যস্ফীতি কমাতে সফল হয়েছে। তবে ২০২২ সালে আগস্টে বাংলাদেশে মূল্যস্ফীতি ছিলো ৯ দশমিক ৫ শতাংশ, যা চলতি বছরের মে মাসে ৯ দশমিক ২৪ শতাংশে দাঁড়িয়েছে বলে জানিয়েছেন পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউট অব বাংলাদেশের (পিআরআই) ভাইস চেয়ারম্যান সাদিক আহমেদ।

শনিবার (৩ জুন) মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এমসিসিআই) ও পিআরআই আয়োজিত বাজেট পরবর্তী এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

সাদিক আহমেদ বলেন, ২০২২ সালের জুনে থাইল্যান্ডের মূল্যস্ফীতি ছিলো ৭ দশমিক ৭ শতাংশ। এটি চলতি বছরের এপ্রিলে নেমে এসেছে ২ দশমিক ৭ শতাংশে। অর্থাৎ এই সময়ের মধ্যে থাইল্যান্ড ৬৫ শতাংশ মূল্যস্ফীতি কমাতে সক্ষম হয়েছে। একইভাবে যুক্তরাষ্ট্রের মূল্যস্ফীতি ২০২৩ সালের এপ্রিলে ৪ দশমিক ৯ শতাংশে নেমে এসেছে, যা এর আগের বছরের জুনে ছিলো ৯ দশমিক ১ শতাংশ।

এদিকে যুক্তরাজ্যের মূল্যস্ফীতি ২০২৩ সালের এপ্রিলে ৭ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। ২০২২ সালের অক্টোবরে যার পরিমাণ ছিলো ১০ দশমিক ৬ শতাংশে। অর্থাৎ আলোচিত এই সময়ের মধ্যে দেশটির মূল্যস্ফীতি কমেছে ৩৪ শতাংশ।

তিনি আরও বলেন, আমদানিতে কড়াকড়ি আরোপ করে দেশে আমদানির পরিমাণ কিছুটা কমানো হয়েছে। এতে ডলারের ওপর চাপ কমেছিলো। কারেন্ট একাউন্ট ব্যালেন্সের কিছুটা উন্নতি হলেও ক্যাপিটাল অ্যাকাউন্ট বাড়ানো সম্ভব হয়নি। কারণ প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগ বাড়েনি। তাই আমদানি নিয়ন্ত্রণ কোন স্থায়ী সমাধান না।

 

অর্থসূচক/এমএইচ/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.