পাকিস্তানের ‘হাইব্রিড মডেল’ প্রস্তাবেও ভারতের না!

এশিয়া কাপের জন্য পাকিস্তানের হাইব্রিড মডেলের প্রস্তাব মেনে নিতে রাজি নয় ভারত। আহমেদাবাদে অন্যান্য দেশের ক্রিকেট প্রধানদের সাথে একটি অনানুষ্ঠানিক সভা করেছে বোর্ড অব কন্ট্রোল ফর ক্রিকেট ইন ইন্ডিয়ার (বিসিসিআই) সদস্যরা। সভা শেষে এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিসিসিআই, যদিও এই ব্যাপারে কিছুই জানায়নি তারা।

ভারতের বার্তা সংস্থা পিটিআই জানিয়েছে, বিসিসিআই সচিব জয় শাহ বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কা ও আফগানিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের প্রধানদের কাছে ভারতের অবস্থান তুলে ধরেছেন। বিসিসিআইয়ের এই কর্তা এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিলেরও (এসিসি) সভাপতি।

এসিসি বোর্ডের এক সদস্য সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে বলেছেন, ‘শ্রীলঙ্কা, বাংলাদেশ আর আফগানিস্তান পিসিবিকে বলেছে, তাদের পাকিস্তানে গিয়ে খেলতে আপত্তি নেই। কিন্তু হাইব্রিড মডেলে আগ্রহী নয় ভারত। এখন অচলাবস্থা ভাঙতে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে হবে এসিসি নির্বাহী বোর্ডের সভায়, যেটা প্রেসিডেন্ট জয় শাহকে আহ্বান করতে হবে।’

এসিসি নির্বাহী বোর্ডের সদস্যদেশ ২৫টি। এর মধ্যে ৫টি আইসিসির পূর্ণ সদস্য অর্থাৎ টেস্ট মর্যাদা প্রাপ্ত। ৩টি ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি মর্যাদা প্রাপ্ত এবং বাকি ১৭টি শুধু টি-টোয়েন্টি মর্যাদা প্রাপ্ত। এর মধ্যে এশিয়া কাপ খেলবে কেবল টেস্ট খেলুড়ে পাঁচটি দেশ এবং নেপাল।

তাই এশিয়া কাপের ভেন্যু নিয়ে সবার ভোটের অর্থ কী, এমন প্রশ্ন তুলেছেন এসিসির সেই সদস্য, ‘এখানে একটা মাঝামাঝি সমাধান দরকার। কারণ, হাইব্রিড মডেল নিয়ে ভোটাভুটি করা যায় না। টুর্নামেন্ট খেলবে ৬টি দেশ, বাকি ১৯ দেশের ভেন্যু নিয়ে মতামত দেওয়ার কী অর্থ? যেখানে তাদের অংশগ্রহণ বা স্বার্থ নেই, সেখানে তারা কীসের ভিত্তিতে, কী ভোট দেবে?’

মাসখানেক ধরেই জটিলতা চলছে এশিয়া কাপের ভেন্যু নিয়ে। সূচি অনুযায়ী অবশ্য পাকিস্তানেই এশিয়া কাপ হওয়ার কথা ছিল। যদিও রাজনৈতিক কারণে পাকিস্তানে যেতে আগ্রহ প্রকাশ করেনি বিসিসিআই। এশিয়া কাপ বাদ দিয়ে পাঁচ দলের সিরিজ আয়োজনের প্রস্তাবও দেয় তারা। পিসিবিও অবশ্য ছেড়ে কথা বলেনি। ভারত তাদের মাটিতে এশিয়া কাপ না খেলতে আসলে ২০২৩ বিশ্বকাপ বর্জনের হুমকিও দিয়েছে তারা। পরে অবশ্য হাইব্রিড মডেলের প্রস্তাব দিয়েছে পিসিবি। এই মডেল অনুযায়ী পাকিস্তানেই আয়োজিত হবে এশিয়া কাপ। তবে ভারত তাদের ম্যাচগুলো খেলবে নিরপেক্ষ ভেন্যুতে।

অর্থসূচক/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.