ব্যাংকিং ডিপ্লোমা পরীক্ষায় ব্যাংকারদের সর্বোচ্চ অংশগ্রহণ

দেশের সব ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাদের পদোন্নতির জন্য সম্প্রতি বাধ্যতামূলক করা হয়েছে ব্যাংকিং প্রফেশনাল পরীক্ষা। বাংলাদেশ ব্যাংকের পাশাপাশি এসব প্রতিষ্ঠানের ৭৮ হাজার ব্যাংকার শনিবার (২৭ মে) ব্যাংকিং ডিপ্লোমা পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছেন।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

তথ্য অনুযায়ী, এবারের ৯৬তম ব্যাংকিং ডিপ্লোমা পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছেন প্রায় ৭৮ হাজার ব্যাংকার। এর আগে কখনোই এত ব্যাংকার একসঙ্গে অংশ নেননি। সর্বশেষ ৯৫তম পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিলেন প্রায় ৩৬ হাজার ব্যাংকার।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ব্যাংক খাতে কর্মী রয়েছেন প্রায় ২ লাখ ১০ হাজার। ফলে এবার প্রায় ৩৭ শতাংশ ব্যাংকার একসঙ্গে ব্যাংকিং প্রফেশনাল পরীক্ষায় বসছেন।

বাংলাদেশ ব্যাংকের অতিরিক্ত পরিচালক থেকে পরিচালক (সাবেক জিএম) হওয়া পর্যন্ত পদোন্নতির ক্ষেত্রে ব্যাংকিং প্রফেশনাল পরীক্ষা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকে আগে শুধু বার্ষিক বেতন বৃদ্ধির জন্য ব্যাংকিং ডিপ্লোমা পরীক্ষার প্রথম পর্ব পাস করা বাধ্যবাধকতা ছিল।

তবে চলতি বছরের শুরুর দিকে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার তা পরিবর্তন করে পরিচালক পর্যন্ত পদোন্নতিতে দুই পর্ব পাসের নিয়ম চালু করেন। আর ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোতে জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা থেকে তদূর্ধ্ব পদে পদোন্নতিতে এই পরীক্ষা বাধ্যতামূলক করা হয়। এই নিয়ম ২০২৪ সাল থেকে কার্যকর হবে।

এর আগে রাজধানী ঢাকার পাশাপাশি সারা দেশের বিভাগীয় ও জেলা পর্যায়ের ২৪টি কেন্দ্রে এ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হতো। এবার অংশগ্রহণকারী বাড়লেও পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে ঢাকার পাশাপাশি ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম, খুলনা, সিলেট, রংপুর ও বরিশালে।

শনিবার (২৭ মে) পরীক্ষা শুরু হবে। সকাল ও দুপুর দুই বেলায় পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। ৩ ও ১০ জুনও একইভাবে পরীক্ষা হবে।

ইনস্টিটিউট অব ব্যাংকার্স বাংলাদেশ (আইবিবি) এ পরীক্ষার আয়োজন করে। চলতি বছরের শুরুর দিকে পদোন্নতিতে এ পরীক্ষা বাধ্যতামূলক করার সিদ্ধান্ত নেয় বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার।

আরও জানা যায়, ব্যাংকিং প্রফেশনাল পরীক্ষার পাঠ্যসূচিতে বড় পরিবর্তন আনা হয়েছে। একই সঙ্গে এ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে পাসের নম্বর ৫০ থেকে কমিয়ে ৪৫ করা হয়েছে।

অর্থসূচক/এমএইচ/এমএস

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.