আন্তঃব্যাংক লেনদেনে ডলারের রেকর্ড দাম

দেশের ইতিহাসে আন্তঃব্যাংক লেনদেনে ডলারের রেকর্ড পরিমাণ দাম উঠেছে। চাহিদা মেটাতে একটি বাণিজ্যিক ব্যাংক কখনো বাংলাদেশ ব্যাংক আবার কখনো অন্য ব্যাংক থেকে ডলার কিনে থাকে। এ ধরনের ডলার ক্রয়ে ব্যাংকগুলোকে বর্তমানে ১০৮ টাকা ৭৫ পয়সা খরচ করতে হচ্ছে।

সম্প্রতি বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

তথ্য অনুযায়ী, গত (২২ মে) ব্যাংকগুলো নিজেদের মধ্যে ডলারের লেনদেন করেছে ১০৮ টাকা ৫০ পয়সা থেকে ১০৮ টাকা ৭৫ পয়সা দরে। এক বছর আগে আন্তঃব্যাংক লেনদেনে ডলারের দাম ছিল ৮৭ টাকা ৫০ পয়সা। অর্থাৎ এক বছরের ব্যবধানে প্রতি ডলারে টাকার দাম কমেছে ২১ টাকা ৫০ পয়সা বা ২৪ দশমিক ২৮ শতাংশ।

জানা যায়, চলতি ২০২২-২৩ অর্থবছরের প্রথম ৯ মাসে (জুলাই-মার্চ) ৫ হাজার ৩৯৩ কোটি ৮০ লাখ মার্কিন ডলারের পণ্য আমদানি করা হয়েছে। বিপরীতে রপ্তানি হয়েছে ৩ হাজার ৯৩২ কোটি ৫০ লাখ ডলারের পণ্য। এতে এক হাজার ৪৬১ কোটি ৩০ লাখ ডলারের বাণিজ্য ঘাটতিতে পড়েছে বাংলাদেশ।

এদিকে গত এপ্রিল মাসে ১৬৮ কোটি ডলারের রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা। আগের বছরের একই মাসের তুলনায় যার পরিমাণ ১৬ দশমিক ২৭ শতাংশ কম। আবার এপ্রিল মাসে রপ্তানি আয় কমেছে ১৬ শতাংশ।

করোনা মহামারির পরে দেশের অর্থনীতি কিছুটা ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করে। এরপর রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর দেশে ডলার-সংকট দেখা দেয়। এ সংকট মোকাবেলায় শুরুতে ডলারের দাম বেঁধে দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। কিন্তু এতে সংকট আরও বেড়ে যায়। পরে গত সেপ্টেম্বরে বাংলাদেশ ব্যাংক ডলারের দাম নির্ধারণের দায়িত্ব থেকে সরে দাঁড়ায়। এই দাম নির্ধারণের দায়িত্ব দেওয়া হয় বাফেদা ও এবিবির ওপর। এর পর থেকে সংগঠন দুটি মিলে রেমিট্যান্স ও আমদানি দায় পরিশোধের ক্ষেত্রে ডলারের দাম নির্ধারণ করে আসছে।

চলতি মে মাসে রেমিট্যান্স ও রপ্তানি আয়ে ডলারের দাম এক টাকা বাড়িয়ে পুনর্নির্ধারণ করা হয়। এখন বৈধ পথে রেমিট্যান্স পাঠালে প্রবাসীরা প্রতি ডলার প্রতি ১০৮ টাকা পাচ্ছেন। আর রপ্তানিকারকরা প্রতি ডলারের বিপরীতে পাবে ১০৬ টাকা। এর আগে রেমিট্যান্সের ডলারের দাম ছিল ১০৭ টাকা আর রপ্তানি আয়ের দাম ছিল ১০৫ টাকা।

 

অর্থসূচক/এমএইচ/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.