ফিক্সিংয়ের দায়ে নিষিদ্ধ বিপিএল খেলা থমাস

প্রায় ১৪ বছরের আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ক্যারিয়ার তবে জাতীয় দলের হয়ে খুব বেশি ম্যাচ খেলার সুযোগ হয়নি ডেভন থমাসের। ওয়েস্ট ইন্ডিজের জার্সিতে খুব বেশি ম্যাচ না খেললেও ইতোমধ্যে চারটি ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্ট খেলেছেন ডানহাতি এই উইকেটকিপার ব্যাটার। পারফরম্যান্সে নজর কাড়তে না পারলেও আইসিসির দুর্নীতি বিরোধী নিয়ম ভঙ করে আলোচনায় এসেছেন তিনি।

ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়ার লিগ (সিপিএল), লঙ্কা প্রিমিয়ার লিগ (এলপিএল) এবং আবু ধাবি টি-টেন লিগে ম্যাচ ফিক্সিংসহ আইসিসির দুর্নীতি বিরোধী সাতটি নিয়ম ভেঙেছেন থমাস। অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় সাময়িকভাবে নিষিদ্ধ হয়েছেন তিনি। এক বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি)। তবে আপিল করার জন্য ১৪ দিন সময় পাচ্ছেন তিনি।

তারা এক বিবৃতিতে জানায়, থমাস তিনটি টুর্নামেন্টেই আইসিসির দুর্নীতি বিরোধী আইন লঙ্ঘন করেছেন এবং তার বিপক্ষে তদন্ত করার জন্য ক্রিকেট শ্রীলঙ্কা (এসএলসি), এমিরেটস ক্রিকেট বোর্ড (ইসিবি) এবং ক্রিকেট ওয়েস্ট ইন্ডিজের অনুমতি ছিল। থমাসের বিপক্ষে সবচেয়ে বড় অভিযোগ ছিল তিনি ম্যাচ ফিক্সিং করার চেষ্টা করেছেন।

২০২১ সালে এলপিএল দল ক্যান্ডি ওয়ারিয়র্সের জার্সিতে খেলেছেন থমাস। যদিও একটির বেশি ম্যাচ খেলতে পারেননি এই উইকেটকিপার ব্যাটার। এসএলসির আনা চারটি অভিযোগ হলো, ম্যাচ ফিক্সিংয়ে সহায়তা করা, ম্যাচের ফলাফলে প্রভাব রাখার চেষ্টা, আচরণগত ইস্যু এবং আকসুকে তথ্য দিয়ে সহযোগিতা না করা। একই বছর টি-টেনে পুনে ডেভিলসের হয়ে খেলেছেন থমাস। ইসিবি তার বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ আনে। যেখানে বলা হয় তিনি দুর্নীতি করলেও তথ্য উপাত্ত দিতে ব্যর্থ হয়েছেন। আর সিপিএলে তার বিরুদ্ধে দুটি অভিযোগ প্রমাণিত হয়। কীভাবে দুর্নীতি করেছেন সেটা প্রকাশ না করা এবং উপহার নেয়া, অর্থ নেয়া এবং আতিথেয়তা বা সুবিধা নেয়ার অভিযোগ প্রমাণিত হয়।

সিপিএলে সেন্ট কিটস অ্যান্ড নেভিস প্যাট্রিয়ট ও বার্বাডোজ রয়্যালসের হয়ে খেলেছেন। ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে একটি টেস্টের সঙ্গে ২১ ওয়ানডে এবং ১২ টি-টোয়েন্টি খেলেছেন থমাস। এ ছাড়া বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) সিলেট সানরাইজার্সের হয়ে খেলেছেন। যদিও তার দুর্নীতির সঙ্গে বিপিএলের কোনো সম্পৃক্ততা নেই।

অর্থসূচক/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.