রমজানে যে কাজ থেকে বিরত থাকবেন

রমজান সংযমের মাস। রমজার ইবাদাত বন্দেগীর মাস। রোজা রেখে আমাদের অনেক কিছু মেনে চলা উচিৎ তাহলে আমরা রোজার পুরোপুরি সাওয়াব পারো। রমজানের ফজিলত অপরিসীম। এই ফজিলত অর্জনের জন্য নির্দিষ্ট কিছু আমল করতে হয় সেইসঙ্গে ছাড়তে হবে বেশ কিছু বিষয়ও।

রমজানে যেসব কাজ থেকে বিরত থাকা দরকার সেগুলো হলো-

  • সেহরি না খেয়ে রোজা রাখা যাবে না। অনেকে সাহরি খায় না রাতের খাবারে একবারে খেয়েই শুয়ে পড়েন। এটা সুন্নাহ পরিপন্থী।
  • ইফতার দেরিতে করা যাবে না। সাহাবি হজরত আবু যর (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসূল (সা.) বলেছেন, ‘দীন বিজয়ী হবে, যে যাবৎ মানুষ দ্রুত ইফতার করবে। কারণ, ইহুদি-নাসারারা তা বিলম্বে করে। ’ –সুনানে আবু দাউদ: ২৩৫৫
  • মিথ্যা বলা ও অন্যান্য পাপ কাজ করা যাবে না। একজন রোজাদার মিথ্যা কথা বলা ও অন্যান্য পাপ কাজ করা থেকে বিরত থাকবে।
  • আমাদের প্রত্যেকটি আমল হবে সুন্নাহ মোতাবেক করতে হবে। আমাদের সব আমল জেনে বুঝে করতে হবে।
  • দান-সদকা করতে হবে। পুণ্য অর্জনের মাস রমজান। এ মাসে রোজা-নামাজ ইত্যাদির পাশাপাশি দান-সদকার মাধ্যমেও ফজিলত অর্জন করতে হবে। বেশি বেশি দান-সদকা করার চেষ্টা করতে হবে। এতিম, বিধবা ও গরীব-মিসকিনদের প্রতি সহানুভূতিশীল হতে হবে। যাদের ওপর জাকাত ফরজ তারা হিসাব করে এ মাসে জাকাত দেওয়া
  • অপচয় ও অপব্যয় করা যাবে না। প্রয়োজনের অতিরিক্ত অপচয় করা থেকে বিরত থাকা। অনেকে রমজান মাসে ইফতার বা সাহরিতে এমন খরচ করেন যার প্রয়োজন নেই। তাই অতিরক্ত খরচ থেকে বিরত থাকতে হবে।
  • তাড়াহুড়ো করে কোরআন খতম করা যাবে না। শুধু খতম দেওয়া বা পড়া শেষ করার জন্য তাড়াহুড়ো করে কোরআন পড়লে কোরআনের হক আদায় হয় না। বিশেষ করে খতমে তারাবিতে খতম শেষ করা বা ২০ রাকাত তারাবি শেষ করার জন্য তাড়াহুড়ো করে কোরআন পড়া।
  • ফরজ নামাজ আদায়ে অলসেমি করা যাবে না। সিয়াম পালনের সঙ্গে সঙ্গে ফরজ নামাজ জামাতের সঙ্গে আদায় করতে হবে। অনেকে ফরজ নামাজ আদায়ে উদাসীন থাকেন, যা গ্রহণযোগ্য নয়। কোরআনে বলা হয়েছে, ‘অতএব সেই নামাজ আদায়কারীদের জন্য দুর্ভোগ, যারা নিজেদের নামাজে অমনোযোগী। ’ -সূরা মাউন: ৪-৫
  • দুনিয়াবী কাজে বেশি ব্যস্ত থেকে আমলে সময় কম দেওয়া যাবে না। ইবাদতের মাস রমজানে বেশি বেশি আমলের কথা রয়েছে। কিন্তু আমরা অনেকেই ব্যস্ত থাকি দুনিয়াবি কাজে। এটা কাম্য নয়। এ মাসে বেশি বেশি দোয়া-ইস্তেগফার করা উচিত। হাদিসে এসেছে, ‘ইফতারের মূহূর্তে আল্লাহতায়ালা বহু লোককে জাহান্নাম থেকে মুক্তি দিয়ে থাকেন। মুক্তির এ প্রক্রিয়া রমজানের প্রতি রাতেই চলতে থাকে।

অর্থসূচক/ এইচএআই

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.