মুরগি ব্যবসায়ীদের ডেকেছিলাম তারা আসেনি: এফবিসিসিআই সভাপতি

আগামী দুই-তিন মাসের জন্য গরু ও মুরগির মাংস আমদানি উন্মুক্ত করে দিতে সরকারকে অনুরোধ জানাবে ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এফবিসিসিআই)। হঠাৎ করে মুরগির দাম বেড়ে যাওয়া নিয়ে আমরা শঙ্কিত। এ ছাড়া আমরা কোন উপায় দেখছি না বলে জানিয়েছেন সংগঠনটির সভাপতি জসিম উদ্দিন।

বৃহস্পতিবার (২৩ মার্চ) এফবিসিসিআই বোর্ডরুমে রমজান উপলক্ষ্যে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের আমদানি, মজুদ, সরবরাহ ও বাজার পরিস্থিতি নিয়ে মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি।

এ সময় তিনি বলেন, বাজারে গরুর মাংসের দাম বেড়েছে বেশ কিছু দিন হয়েছে। কয়েক দিন ধরে বয়লার মুরগির দাম অনেক বেড়েছে। আমরা আজ  মুরগি ব্যবসায়ীদের ডেকেছিলাম তারা আসেনি মিটিংয়ে। এর আগে দাম বাড়লো, তবে ধরপাকড় করা হলে দাম কমে আসে। রমজানকে সামনে রেখে আবারও মুরগির দাম বাড়ানো হলো কেনো, প্রশ্ন রাখেন তিনি। এভাবে সমাধান আসবে না। আমরা সরকারের কাছে আমদানি উন্মুক্ত করে দিতে বলবো। আগামী দুই-তিন মাস তাহলে আমদানি করা হোক, এ ছাড়া আমরা আর কোন পথ দেখছি না।

এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি বলেন, এবার সরকার কঠোরভাবে বাজার মনিটরিংয়ে থাকবে। কোন বাজারে বেশি মূল্য রাখা হলেই বাজার কমিটি বাতিল করবে সরকার। একইসাথে দাম বেশি নেওয়া প্রতিষ্ঠানের লাইসেন্সও বাতিল করবে সরকার। আমরা চাই না রোজায় দাম বেশি নেওয়ার কারণে কোন ব্যবসায়ীর লাইসেন্স বাতিল হোক বা কাউকে আটক করা হোক।

ব্যবসায়ীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, আপনাদের সমস্যা থাকতে পারে, তবে সমস্যাটি আমাদের জানাবেন। আমাদের জানান আমরা সমস্যা নিয়ে কথা বলবো। আমাদের টিমও বাজার মনিটরিংয়ে থাকবে। আশা করবো আপনারা বেশি মুনাফা করবেন না। খেঁজুর বাজারে চাহিদার তুলনায় বেশি আছে। বাজারে চাহিদার পর্যাপ্ত রয়েছে ছোলা, পামওয়েল, সোয়াবিনসহ অন্যান্য নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য।

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন এফবিসিসিআইয়ের পরিচালনা পর্ষদ, বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতির সভাপতিসহ রাজধানীর বিভিন্ন খুচরা ও পাইকারি বাজারের ব্যবসায়ীরা।

 

অর্থসূচক/এমএইচ/এএইচআর

 

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.