ইমরানের গ্রেফতারি পরোয়ানা স্থগিত করল হাইকোর্ট

পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী এবং পিটিআই চেয়ারম্যান ইমরান খানের বিরুদ্ধে জারি করা গ্রেফতারি পরোয়ানা স্থগিত করেছে পাকিস্তানের হাইকোর্ট। দেশটির ইংরেজি পত্রিকা ডন এ তথ্য জানিয়েছে।

লাহোর হাইকোর্ট ইমরান খানকে নয়টি মামলায় সুরক্ষামূলক জামিন আদেশ দিয়েছে। এর মধ্যে সন্ত্রাসবাদ সংক্রান্ত আটটি মামলা ছিল। আট মামলার পাঁচটি ইসলামাবাদ হাইকোর্টে দায়ের করা হয়েছিল। এসব মামলায় আদালত চত্বরে ভাঙচুর ও পুলিশের কাজে বাধা দেয়ার অভিযোগ আনা হয়। লাহোর হাইকোর্টের ২ বিচারপতির সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ ইমরান খানকে আগামী ২৭ মার্চ পর্যন্ত সুরক্ষামূলক জামিন দেয়।

এছাড়া, ইসলামাবার মামলায় তিনি ২৪ মার্চ পর্যন্ত একই ধরনের জামিন আদেশ পেয়েছেন। আদালতের এই আদেশের পর পিটিআই কর্মী, সমর্থক এবং আইনজীবীরা লাহোর হাইকোর্ট প্রাঙ্গনে উল্লাস প্রকাশ করেন। এদিকে, পাকিস্তানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রানা সানাউল্লাহ বলেছেন, ইমরান খানের আটকের বিষয়ে সরকার আইনগত প্রক্রিয়া অনুসরণ করবে। খবর- পার্সটুডের

ইমরান খানের বিরুদ্ধে অভিযোগ, প্রধানমন্ত্রী থাকাকালীন বিভিন্ন রাষ্ট্রপ্রধানের কাছ থেকে পাওয়া উপহার সরকারি ভান্ডার বা তোশাখানায় জমা না দিয়ে, মোটা অঙ্কে বিক্রি করেছেন। পাকিস্তানের নির্বাচন কমিশন ইমরান খানকে সে কারণে পাঁচ বছরের জন্য নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় নিষিদ্ধ ঘোষণা করে। কমিশনের এ সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে ইমরান খান গত অক্টোবরে ইসলামাবাদ হাইকোর্টে আবেদন জানালেও তা খারিজ হয়ে যায়। তারপর থেকে এ মামলার একাধিক শুনানিতে হাজির হননি তিনি।

এর আগে লাহোরের জামান পার্কের বাড়ি থেকে ইমরান খান বের হতেই পুলিশ সেখানে অভিযান শুরু করে। এ সময় পিটিআই নেতা ও ইমরান খানের সমর্থকরা বাধা দিলে বেধড়ক পেটানো শুরু করে পুলিশ।

গণমাধ্যম ডন ও জিও নিউজের খবরে বলা হয়েছে, দেশটির পুলিশ ইমরান খানের সমর্থকদের লাঠিপেটা করে ছত্রভঙ্গ করে দেয়। ঘটনাস্থল থেকে আটক করা হয় অন্তত ২০ পিটিআই নেতাকর্মীকে।

পিটিআই নেতাকর্মীদের মারধরের ঘটনার পর টুইটারবার্তায় ইমরান খান অভিযোগ করেন, ‘পাঞ্জাব পুলিশ যখন তার জামান পার্কের বাসায় হামলা চালায় তখন তার স্ত্রী বুশরা বেগম একাই ছিলেন।’ কোন আইনে তারা এসব করছে? তিনি আরও অভিযোগ করেন, এটি লন্ডন পরিকল্পনার অংশ যেখানে পলাতক নওয়াজ শরীফকে ক্ষমতায় আনার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল।’

অর্থসূচক/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.