নিখোঁজ মেহেদীর মরদেহ উদ্ধার, নিহত বেড়ে ২১

সিদ্দিকবাজারের বিস্ফোরণ

গুলিস্তানের সিদ্দিকবাজারের বিস্ফোরণের ঘটনায় বিধ্বস্ত কুইন টাওয়ার ভবন থেকে নিখোঁজ মেহেদী হাসান স্বপনের (৪০) মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত নিহতের সংখ্যা বেড়ে ২১ জনে দাঁড়িয়েছে।

বৃহস্পতিবার দুপুরের দিকে মরদেহটি বিধ্বস্ত ভবন থেকে বের করে আনা হয়। নিহত স্বপন ওই ভবনের বেসমেন্টে অবস্থিত বাংলাদেশ স্যানিটারির ম্যানেজার।

বিষয়টি নিশ্চিত করে ফায়ার সার্ভিসের সহকারী পরিচালক আক্তারুজ্জামান বলেন, ‘মেহেদী হাসান স্বপনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ভেতরে আর কোনো মরদেহ নেই।’

মেহেদীর বেয়াই আব্দুল সাত্তার বাবুল জানান, মরদেহটি মেহেদী হাসান স্বপনের।

স্বপনের বড় ভাই তানভির হাসান সোহাগ জানান, তাদের বাড়ি নোয়াখালী সোনাইমুরি উপজেলার পশ্চিম এনায়েতপুর গ্রামে। তার বাবার নাম গোলাম রব্বানী। এক ছেলে ও এক মেয়ে ও স্ত্রী রোকেয়া বেগম মুনমুনকে নিয়ে রামপুরা টিভি সেন্টারের পাশে থাকেন তারা। সিদ্দিকবাজারের ওই ভবনটির আন্ডারগ্রাউন্ডে বাংলাদেশ স্যানেটারি নামে নিজের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রয়েছে তার। ঘটনার সময় তার স্বপনের সঙ্গে মির্জা ও আশিক নামে দুই কর্মচারীও ছিলেন। তারা বর্তমানে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন।

এর আগে নিখোঁজ ব্যবসায়ী মেহেদী হাসান স্বপনের সন্ধানে সকাল সোয়া ৯টায় অভিযান শুরু করা হয়। তখন ফায়ার সার্ভিস ট্রেনিং কমপ্লেক্সের ভাইস প্রিন্সিপাল আনোয়ারুল হক বলেছিলেন, ‘মেহেদী হাসান স্বপনের স্বজনদের দাবি, এই ভবনের নিচে তার মরদেহ পাওয়া যেতে পারে। আমরা উদ্ধার অভিযান শুরু করেছি৷’

গত ৭ মার্চ বিকেলের দিকে গুলিস্তানের সিদ্দিক বাজারের নর্থসাউথ রোডে সাততলা ওই ভবনে বিকট শব্দে বিস্ফোরণ ঘটে। বিস্ফোরণে ভবনটির তিনতলা পর্যন্ত পুরোপুরি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সেখানে স্যানিটারি ও গৃহস্থালি সামগ্রীর বেশ কয়েকটি দোকান ছিল। বিস্ফোরণে ভবনটির দেয়াল ভেঙে যাওয়ার পাশাপাশি ভেতরের জিনিসপত্র ছিটকে বাইরে পড়ে যায়। ভবনের উল্টোদিকে দাঁড়িয়ে থাকা একটি বাসও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এছাড়া ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে পাশের কয়েকটি ভবনও।

অর্থসূচক/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.