খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন শুনানি ফের পেছাল

নাইকো দুর্নীতি মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার আইনজীবীদের কাছে তদন্ত চলাকালীন সময়ে তদন্ত কর্মকর্তাদের জব্দ করা কাগজপত্রের সত্যায়িত অনুলিপি সরবরাহের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। ফলে আবারও পিছিয়েছে অভিযোগ গঠনের শুনানি।

খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা এই মামলার অভিযোগ গঠনের শুনানির সময় সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ নথি জমা দেওয়ার আবেদন করলে রোববার ঢাকার বিশেষ জজ আদালত ৯ এর বিচারক শেখ হাফিজুর রহমান এ আদেশ দেন।

দুদকের পাবলিক প্রসিকিউটর মোশাররফ হোসেন কাজল রিট আবেদনের বিরোধিতা করে বলেন, খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা এর আগেও বেশ কয়েকবার সত্যায়িত অনুলিপি নিয়েছেন। এখন তারা খালেদা জিয়াসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের শুনানি বিলম্বিত করার জন্য এই আবেদন করেছেন। একই সঙ্গে মামলার পরবর্তী শুনানির জন্য আগামী ১ মার্চ দিন ধার্য করেছেন আদালত।

এর আগে খালেদা জিয়ার পক্ষে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এ জে মোহাম্মদ আলী যুক্তি উপস্থাপন করলেও মামলার তদন্ত কর্মকর্তার জব্দ করা কিছু কাগজপত্র না থাকায় শুনানি শেষ করতে পারেননি তিনি। সরকারের নির্বাহী আদেশে মুক্তি পাওয়া খালেদা জিয়া অসুস্থ অবস্থায় আছেন। এর আগে হৃদযন্ত্রের সমস্যা থাকায় তাকে এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। পরে সেখান থেকে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়য়। বর্তমানে তিনি গুলশানের বাসায় চিকিৎসা নিচ্ছেন।

এর আগে আদালতে সশরীরে হাজিরা দেওয়ার বাধ্যবাধকতা থেকে সাবেক বিরোধীদলীয় নেত্রী খালেদা জিয়াকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। তার অনুপস্থিতিতে মাসুদ আহমেদ তালুকদার আদালতে তার প্রতিনিধিত্ব করেছেন। আসামিদের মধ্যে গিয়াসউদ্দিন আল মামুন কারাগারে এবং ৬ জন জামিনে মুক্ত আছেন। অপর অভিযুক্ত আসামি নাইকো রিসোর্সেস (বাংলাদেশ) লিমিটেডের সাবেক সভাপতি কাশেম শরীফ পলাতক রয়েছেন। শুনানির সময় গিয়াসউদ্দিন আল মামুনকে কেরানীগঞ্জের ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের অস্থায়ী আদালতে হাজির করা হয়।

২০০১ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী থাকাকালে কানাডার প্রতিষ্ঠান নাইকোকে গ্যাস অনুসন্ধান ও উত্তোলনের কাজ দেওয়ার ক্ষেত্রে ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগে খালেদা জিয়াসহ কয়েকজনের বিরুদ্ধে ২০০৭ সালের ডিসেম্বরে মামলা দায়ের করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। অভিযুক্তদের মাঝে সাবেক জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী ও বিএনপি নেতা এ কে এম মোশাররফ হোসেন ও সাবেক আইনমন্ত্রী ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ ইতোমধ্যে মারা গেছেন।

মোশাররফ হোসেন ২০২০ সালের ১৭ অক্টোবর করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা যান এবং ১৬ মার্চ বার্ধক্যজনিত জটিলতায় মওদুদ আহমদের মৃত্যু হয়।

অর্থসূচক/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.