ভারতের পুঁজিবাজারে মূলধন কমলো আদানির শেয়ারের পতনে

আদানি গোষ্ঠীর শেয়ার কারসাজির প্রতিবেদন প্রকাশ করেছিলো হিনডেনবার্গ। এরপরেই ধারাবাহিকভাবে কমতে থাকে আদানির তালিকাভুক্ত ১০ কোম্পানির শেয়ার দর। এক মাসের বেশি সময়ের মধ্যে আদানি গোষ্ঠীর বাজার মূলধন ৭ লাখ ১৬ হাজার কোটি রুপিতে নেমেছে। এর প্রভাবে ভারতের পুঁজিবাজারে নিবন্ধিত অন্য কোম্পানিগুলোর সম্মিলিত বাজার মূলধন ২০ লাখ ৪০ হাজার কোটি রুপি কমে গেছে।

বাজার মূলধনের দিক থেকে ভারতের পুঁজিবাজারে আদানি গোষ্ঠীর অবস্থান এখন চতুর্থ। তাদের আগে আছে টাটা, রিলায়েন্স ও রাহুল বাজাজ গ্রুপ। এদিকে হিনডেনবার্গের প্রতিবেদন প্রকাশের আগে আদানি গোষ্ঠীর আবস্থান ছিলো দ্বিতীয়।

ভারতের বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডের এক প্রতিবেদন সূত্রে এসব তথ্য জানা যায়।

প্রতিবেদনে বলা হয়, আদানি গোষ্ঠীর তালিকাভুক্ত ১০টি কোম্পানির বাজার মূলধন প্রতিদিন গড়ে প্রায় ৫২ হাজার ৩৪৩ কোটি রুপি করে কমছে। তাতে আদানি গোষ্ঠীর বাজার মূলধন গত এক মাসে প্রায় ১২ লাখ ৫ হাজার কোটি রুপি বা ৬৩ শতাংশ কমেছে। বিশ্বের ইতিহাসে এত অল্প সময়ে আর কোনো কোম্পানির বাজার মূলধন এতটা কমেনি।

এতে আরও জানানো হয়, গত ২৪ জানুয়ারি ফোর্বস ম্যাগাজিনের ধনীদের তালিকায় তাঁর অবস্থান ছিল চতুর্থ। তবে বর্তমানে তার অব্স্থান ৩৩ তম। সম্পদমূল্য ৯ লাখ ৮৬ হাজার ৮১৩ কোটি রুপি থেকে দুই লাখ ৯২ হাজার ৭২৭ কোটি রুপিতে নেমে এসেছে। অর্থাৎ আলোচিত এই সময়ে তাঁর সম্পদ মূল্য কমেছে ৮ হাজার ৩৭০ কোটি ডলার ছয় লাখ ৯৪ হাজার ৮৬ কোটি রুপি ।

আদানি গোষ্ঠীর শেয়ারদর পতনের কারণে ভারতের পুঁজিবাজারের সাধারণ বিনিয়োগকারীরা ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। প্রতিবেদন প্রকাশ হওয়ার পর আদানি এন্টারপ্রাইজের শেয়ারদর কমেছে ৬২ শতাংশ। এছাড়া আদানি পোর্টস অ্যান্ড এসইজেডের শেয়ারদর ২৭ শতাংশ কমেছে।

এর আগে ২০২২ সালের ডিসেম্বর মাস শেষে আদানি গোষ্ঠীর ১০টি কোম্পানিতে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের শেয়ারের পরিমাণ ছিল ১ থেকে ১১ শতাংশ। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ছিল এসএসসিতে ১১ শতাংশ।

অর্থসূচক/এমএইচ

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.