গুলশানে আগুন: নিহত যুবকের পরিচয় মিলেছে

রাজধানীর গুলশান ২-এর এক আবাসিক ভবনে অগ্নিকাণ্ডে নিহত ব্যক্তির পরিচয় মিলেছে। তাঁর নাম আনোয়ার হোসেন (৩০)। তিনি ওই ভবনে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) এক পরিচালকের বাসায় বাবুর্চি হিসেবে কাজ করতেন।

মৃত আনোয়ার হোসেন ভোলা জেলার দৌলতখান উপজেলার দিদারুল্লা গ্রামের কৃষক নুর ইসলামের ছেলে। পাঁচ ভাই এক বোনের মধ্যে সে ছিল তৃতীয়। আনোয়ার বর্তমানে গুলশানে ক্রিকেট বোর্ডের পরিচালক ফাহিম সিনহার বাসায় বাবুর্চির কাজ ও বাজার করতেন।

রোববার (১৯ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত রাতে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের মর্গে মৃতের বড় বোন বিলকিস বেগম ও ছোট ভাই জুলহাস তার লাশ শনাক্ত করেন। জুলহাস বলেন, ক্রিকেট বোর্ডের পরিচালক ফাহিম সিনহার বাসায় বাবুর্চির কাজ ও বাজার করতেন। বিভিন্ন হাসপাতাল ঘুরে ও টিভিতে নিউজ দেখে ঢামেকে এসে তার লাশ শনাক্ত করি। ব্যক্তিগত জীবনে তিনি বিবাহিত, তার পরিবার গ্রামে থাকতো। তার স্ত্রী আমেনা বেগম অন্তঃসত্ত্বা বলে জানিয়েছেন জুলহাস।

সোমবার (২০ ফেব্রুয়ারি) সকালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক বাচ্চু মিয়া এ তথ্য জানিয়ে বলেন, ‘গুলশানের অগ্নিকাণ্ডে নিহত যুবকের পরিচয় পাওয়া গেছে। তার ছোট ভাই জুলহাস হাসপাতালে এসে আনোয়ার হোসেনের মরদেহ শনাক্ত করেন। তিনি ওই ভবনে বিসিবি পরিচালক ফাহিম সিনহার বাসায় বাবুর্চি হিসেবে কাজ করতেন।’

গুলশান থানার উপ-পরিদর্শক এসআই বাবলুর রহমান বলেন, ওই ভবনে আগুন লাগার পর সেখান থেকে লাফিয়ে বা পড়ে গিয়ে আনোয়ারের মৃত্যু হয়। পরিবারের লিখিত আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ময়নাতদন্ত ছাড়াই মৃতদেহটি স্বজনদের কাছে রাতেই হস্তান্তর করা হয়।

এদিকে, বিসিবির পরিচালক ফাহিম সিনহার স্ত্রী সায়মা রহমান সিনহা ১২তলার ছাদ থেকে লাফ দিয়ে সুইমিংপুলে পড়েন। তিনি আহত হয়ে শেখ হাসিনা বার্ন ইনস্টিটিউটে ভর্তি হয়েছেন।

রোববার (১৯ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যা ৭টার দিকে লাগা আগুন রাত ১১টার দিকে নিয়ন্ত্রণে আনে ফায়ার সার্ভিস। আগুন নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসের ১৯টি ইউনিট কাজ করে। আগুনের ঘটনায় ভবনটি থেকে মোট ২২ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। এরমধ্যে ১৭ জন নারী। আহত চারজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে।

 

অর্থসূচক/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.