ধর্ষণের অভিযোগে ইরান পুলিশপ্রধানের ১৫ মাস কারাদণ্ড

ধর্ষণের অভিযোগ ইরানের পুলিশপ্রধানকে ১৫ মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

শুক্রবারের (১৭ ফেব্রুয়ারি) এই ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের সময় ১৫ বছরের এক কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগে বিচার বিভাগ বলেছে, পুলিশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করায় তাঁকে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

বিচার বিভাগের সংবাদ সংস্থা মিজান অনলাইন বলেছে, গত ৩ ডিসেম্বর সামরিক ট্রাইব্যুনাল চাবাহার শহরের সাবেক পুলিশ কমান্ডার ইব্রাহিম কোচাকজাইকে ১৫ মাসের কারাদণ্ড দিয়েছেন।

গত ৯ নভেম্বর কর্নেল কোচাকজাইকে নিয়ে খবর প্রকাশ করে ফারহিখতেগান পত্রিকা। ওই খবরে বলা হয়, ভাইকে হত্যার জন্য গত সেপ্টেম্বরে কোচাকজাই চাবাহারের দক্ষিণ পূর্বাঞ্চলের বন্দরে ১৫ বছরের এক কিশোরীকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছিলেন। খবর অনুসারে, ওই কিশোরীর বিরুদ্ধে কোনো গ্রেপ্তারি পরোয়ানা ছিল না। জিজ্ঞাসাবাদের সময় কোচাকজাইয়ের সঙ্গে ওই কিশোরী একা ছিলেন। কোচাকজাইয়ের কার্যালয়ে জিজ্ঞাসাবাদের সময় কোনো নজরদারি ক্যামেরাও ছিল না।

ফারহিখতেগান পত্রিকার খবরে সে সময় আরও জানানো হয়, বাড়িতে ফেরার পর ওই কিশোরী বলে, পুলিশ কমান্ডার তাকে ধর্ষণ করেছে।

কর্তৃপক্ষ এ ঘটনা তদন্তের নির্দেশ দেয়। তবে স্বাস্থ্য পরীক্ষক বলেন, কিশোরীকে ধর্ষণ করা হয়নি। পত্রিকার খবর অনুসারে, কিশোরীর পরিবার স্বাস্থ্য পরীক্ষকের মন্তব্য মেনে নিতে রাজি হয়নি।

এ ঘটনার পর সিস্তান-বেলুচিস্তান প্রদেশের রাজধানী জাহেদান শহরে সংঘর্ষ ও বিক্ষোভ হয়েছে। চাবাহার এখানেই অবস্থিত।

সিস্তান-বেলুচিস্তান প্রদেশে সংখ্যালঘু বালুচ জনগোষ্ঠী বসবাস করে। প্রায়ই এখানে সহিংসতার ঘটনা ঘটে। জাহেদান ও চাবাহার শহরে ইরানের সংখ্যালঘু সুন্নি জনগোষ্ঠীর বসবাস।

তবে মিজান অনলাইনের খবরে বলা হয়েছে, পুলিশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করায় কোচাকজাইকে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া পুলিশের ভুয়া বিবৃতি, হুমকির কারণেও তাঁকে কারাদণ্ড দেওয়া হয়। মিজান অনলাইনের খবরে আরও বলা হয়েছে, কোচাকজাইয়ের বিরুদ্ধে থাকা আরও অভিযোগের তদন্ত চলছে।

সেপ্টেম্বরের বিক্ষোভের পর কর্তৃপক্ষ দুজন আঞ্চলিক নিরাপত্তা কর্মকর্তাকে বরখাস্ত করেছে। তাঁদের মধ্যে জাহেদানের পুলিশপ্রধানও রয়েছেন।

অর্থসূচক /

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.