তুরস্কে ভূমিকম্পের দশম দিনে এক নারীকে জীবিত উদ্ধার

তুরস্কে বিধ্বংসী ভূমিকম্পের দশম দিনেও এক নারীকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। ভূমিকম্পের প্রায় ২২২ ঘণ্টা পর উদ্ধার ৪২ বছর বয়সি ওই নারীর নাম মেলিকে ইমামোগলু।

ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থল কাহরামানমারাস প্রদেশের ওনিকিসুবাত জেলা থেকে মেলিকে উদ্ধার করা হয়। তুরস্কের বুরসা শহর থেকে আসা একদল উদ্ধারকর্মী দেশটির ভূমিকম্প বিধ্বস্ত ওনিকিসুবাত জেলায় কাজ করছিল।

কয়েক দিন উদ্ধারকাজ শেষে তারা একটি ভবনের অভিযান সমাপ্তি ঘোষণা করতে যাচ্ছিল। কিন্তু কয়েকজন সদস্যের ধারণা হয়েছিল, ভবনটির ধ্বংসস্তূপে তখনও কেউ একজন জীবিত রয়েছেন। তাই তারা উদ্ধারকাজ আরও চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। এ অবস্থায় বুধবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) এই নারীকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়।

মেলিকে বেশ বিধ্বস্ত দেখা যাচ্ছিলো। তাকে হাসপাতালে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে রাখা হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে আলজাজিরার এক প্রতিবেদনে।

বুধবার আলজাজিরা জানায়, ভূমিকম্পে তুরস্ক ও সিরিয়ায় নিহতের সংখ্যা ৪১ হাজার ছাড়িয়েছে।

তুরস্কে ৩৫ হাজার ৪১৮ জন নিহত হয়েছেন বলে জানায় দেশটির কর্তৃপক্ষ। জাতিসংঘ এবং সিরিয়া সরকারের মতে, দেশটিতে ৫ হাজার ৮০০ জনের বেশি নিহত হয়েছেন।

ভূমিকম্প আঘাত হানার ১০ দিন চলছে। এখনও উদ্ধার অভিযান চলছে দেশ দুটিতে। মৃতের সারি দীর্ঘ হওয়ার পাশাপাশি অলৌকিকভাবে দু-এক জনকে এখনও জীবিত উদ্ধার করা হচ্ছে।

মঙ্গলবার তুরস্কের একটি ধ্বংসস্তূপ থেকে প্রায় ২০৩ ঘণ্টা পর এক তরুণীকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। দেশটির দক্ষিণাঞ্চলের হাতায় প্রদেশে এ বিস্ময়কর ঘটনা ঘটে।

একই দিন ভূমিকম্পের প্রায় ১৯৮ ঘণ্টা পর ১৮ বছর বয়সি এক তরুণকে উদ্ধার করা হয় তুরস্কের আদিয়ামান প্রদেশে। কিন্তু উদ্ধার ব্যক্তির নাম-পরিচয় তাৎক্ষণিকভাবে নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

৬ ফেব্রুয়ারি সকালে ৭ দশমিক ৮ মাত্রার তীব্র ভূমিকম্পে কেঁপে উঠেছিল তুরস্ক এবং সিরিয়া। ধসে পড়েছে ১০ হাজারেরও বেশি ভবন, ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকা পড়েছে বহু মানুষ। ভূমকম্পে এখন পর্যন্ত ৪১ হাজারেও বেশি মানুষের প্রাণহানির খবর জানিয়েছে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলো।

সূত্র: আলজাজিরা

অর্থসূচক/এমএস

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.