আরও বেশি বাউন্ডারি চান জ্যোতি

শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে হেরে নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ শুরু করতে হয়েছে নিগার সুলতানা জ্যোতির দলকে। টস জিতে আগে ব্যাটিংয়ে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে আট উইকেটে ১২৬ রান তোলে বাংলাদেশ নারী দল। সাত উইকেট হাতে রেখেই সেই লক্ষ্যে পৌঁছে যায় শ্রীলঙ্কা নারী দল। বাংলাদেশের মেয়েদের হয়ে ইনিংস সর্বোচ্চ ২৯ রান আসে সোবহানা মোস্তারির ব্যাটে। ৩২ বলে খেলা এই ইনিংসে ছিল পাঁচটি চারের মার।

এ ছাড়া ৩৪ বলে ২৮ রান করেন অধিনায়ক জ্যোতি। এই দুজন ছাড়া দুই অঙ্কের রান স্পর্শ করতে পেরেছেন কেবল শামিমা সুলতানা এবং লতা মন্ডল। শামিমা ১৩ বলে ২০ এবং লতা ১৩ বলে ১১ রান করেন। পুরো ইনিংসে বাংলাদেশ মোটে বাউন্ডারি হাকিয়েছে দশটি।

ম্যাচ হারের পর নিজেদের ব্যাটিং সীমাবদ্ধতার কথাই ফুটে উঠল নিগারের কণ্ঠে। তিনি বলেন, ‘পাওয়ার প্লের সময় আমাদের ব্যাটিং দুর্দান্ত ছিল। কিন্তু ৬ ওভারের পর আমরা কোনো বাউন্ডারি পাইনি। এরই মূল্য দিতে হয়েছে। আমরা পরের ম্যাচগুলোতে পাওয়ার প্লের এই ব্যাটিংটা করে যেতে চাই। বাউন্ডারি মারা নিয়ে কাজ করতে হবে আমাদের। শেষ দিকে আমরা উইকেটও বেশি হারিয়েছি।’

লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ২৫ রানের মধ্যেই তিন উইকেট হারায় শ্রীলঙ্কা। একে একে ফিরে যান চামারি আতাপাত্তু (১৫), ভিশ্মি গুনারত্নে (১) এবং আনুশকা সাঞ্জিওয়ানি (০)। মাত্র ২৩ রান খরচায় তিন উইকেট নেন মারুফা।

১৮ বছর বয়সী এই পেসারকে নিয়ে উচ্ছ্বসিত হয়ে জ্যোতি বলেন, ‘মারুফা আজ সত্যিই দুর্দান্ত বোলিং করেছে। সে মাত্রই অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ থেকে এসেছে এবং দলের জন্য কতটা গুরুত্বপূর্ণ, তা দেখিয়েছে।’

তারপর অবশ্য আর উইকেট পায়নি বাংলাদেশ নারী দল। হারশিতা সামাবিক্রমা ৫০ বলে ৬৯ এবং নিলাকশি ডি সিলভা ৩৮ বলে ৪১ রানে অপরাজিত থেকে ম্যাচ শেষ করেন।

অর্থসূচক/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.