গত ৩০ ডিসেম্বর ভয়াবহ এক সড়ক দুর্ঘটনার শিকার হন ঋষভ পান্ত। এই দুর্ঘটনায় পরে আগামী এক বছরের জন্য খেলার মাঠ থেকে দূরে সরে গেছেন ভারতের এই উইকেটরক্ষক। পান্তের দুর্ঘটনার মাশুল দিতে হচ্ছে ভারতীয় দলকেও। আসন্ন অস্ট্রেলিয়া সিরিজে দলটিতে তৈরি হয়েছে কম্বিনেশনের ঘাটতি। বিষয়টি নজর এড়ায়নি কপিল দেবের।
পান্তের অনুপস্থিতিতে ভারতের মতো দলে অবশ্য কম্বিনেশনের ঘাটতি তৈরি হওয়ার কথা নয়। কেননা দলটির পাইপলাইনেই পড়ে আছে অনেক ক্রিকেটার। যদিও টেস্ট পারফর্মার হিসেবে পান্ত একেবারেই আলাদা। ঘরে বা বাইরের মাটিতে ইতোমধ্যেই ভারতকে অনেকগুলো টেস্ট ম্যাচ একা হাতে জিতিয়েছেন এই উইকেটরক্ষক। অস্ট্রেলিয়ার সাথে ৯ ফেব্রুয়ারি শুরু হতে যাওয়া বোর্ডার-গাভাস্কার সিরিজে তাই পান্তকে একটু বেশিই মিস করবেন কপিল। এ কারণেই এক অনুষ্ঠানে পান্তের প্রসঙ্গ উঠতেই আবেগি হয়ে ওঠেন তিনি।
কপিল বলেন, ‘আমি তাকে (পান্ত) খুবই ভালোবাসি। আমি চাই সে দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠুক। যদি সব ঠিক হওয়ার দিকে আগায় আমি তোমাকে (পান্ত) শক্ত করে একটা চড় মারব, কেননা তোমার নিজের প্রতি যত্ন নেয়া উচিত ছিল। দেখো, তোমার ইনজুরি পুরো দলের কম্বিনেশন নষ্ট করে দিয়েছে। দ্রুতই সুস্থ হয়ে ওঠো। আমার বর্তমান সময়ের ছেলেদের ওপর অনেক রাগ, ওরা এমন ভুল করে কেন? এদেরও ধরে মারা উচিত।’
গত ৩০ ডিসেম্বর গাড়ি চালানোর সময় নিজ শহর উত্তরখন্ডের রুর্কি এলাকাতে মারাত্মক এক দুর্ঘটনার কবলে পড়েন পান্ত। নিজের গাড়িতে করে উত্তরখন্ড থেকে নয়া দিল্লিতে ফিরছিলেন পান্ত। গাড়িতে একাই ছিলেন তিনি। কিন্তু প্রচণ্ড ঘুম চলে আসায় টাল সামলাতে না পেরে ডিভাইডারের ওপর গাড়ি তুলে দেন তিনি। পান্তের পাশাপাশি তার গাড়িও মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। দুর্ঘটনার পর পান্তকে স্থানীয় শাকশাম হসপিটাল মাল্টিস্পেশালিটি অ্যান্ড ট্রমা সেন্টারে নেয়া হয়। পরে সেখান থেকে দেহরাদুনের ম্যাক্স হসপিটালে নেয়া হয় ২৫ বছর বয়সী এই ক্রিকেটারকে। বাজে দুর্ঘটনায় পুরো শরীরজুড়েই ইনজুরি আক্রান্ত হন তিনি। পরে জানা গেছে কপালে দুই শেলাই পড়েছে পান্তের। এমনকি ডান হাটুতে লিগামেন্টও ছিড়ে গেছে এবং ডান হাতের কব্জি, গোড়ালি, পায়ের আঙুলেও ইনজুরি আছে তার। এ ছাড়া পান্তের পিঠেও আঘাত পান পান্ত।
অর্থসূচক/এএইচআর
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.