উঠে গেলো বাংলা কিউআর কোডের লেনদেনের সীমা

নির্দিষ্ট ব্যাংকের অ্যাপের মাধ্যমে মাস্টার কার্ড, ক্রেডিট কার্ড, ডেবিট অথবা প্রিপেইড কার্ড থেকে সবধরনের আর্থিক লেনদেন করতে সম্প্রতি চালু হয় ‘বাংলা কিউআর’ কোড পেমেন্ট সিস্টেম। এরফলে গ্রাহকদের বিভিন্ন পেমেন্ট নেটওয়ার্কের আলাদা কিউআর কোড স্ক্যান করতে হয়না। তখন এই পদ্ধতিতে লেনদেনের জন্য একক ব্যক্তিক হিসাবে দৈনিক লেনদেনের সীমা সর্বোচ্চ ২০ হাজার টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিলো। তবে বাংলাদেশ ব্যাংক ব্যক্তি হিসাবের সর্বোচ্চ লেনদেনের সীমা উঠিয়ে নিয়েছে।

বুধবার (৮ ফেব্রুয়ারী) বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে এ সংক্রান্ত একটি সার্কুলার জারি করে দেশের সকল ব্যাংক, মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস প্রোভাইডার, পেমেন্ট সার্ভিস প্রোভাইডার এবং পেমেন্ট সার্ভিস অপারেটরে পাঠানো হয়েছে।

এতে বলা হয়, বাংলা কিউআর কোড ভিত্তিক লেনদেনের ক্ষেত্রে একক ব্যাক্তি হিসাবে দৈনিক লেনদেনের সীমা সর্বোচ্চ ২০ হাজার টাকা রহিত করা হলো। তবে ব্যাংক বা প্রতিষ্ঠানগুলো নিজস্ব ঝুঁকি বিবেচনায় মার্চেন্ট পেমেন্টের ক্ষেত্রে লেনদেনের জন্য একক লেনদেনর সীমা, দৈনিক লেনদেনের সীমা ও লেনদেনের সংখ্যা নির্ধারণ করতে পারবে।

আরও বলা হয়, সন্দেহজনক ও বড় অংকের লেনদেনগুলো ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠান যথাযথভাবে যাচাই করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।

এর আগে বাংলাদেশ ব্যাংক জানিয়েছিলো, ‘বাংলা কিউআর’ ভিত্তিক আন্তঃপ্রাতিষ্ঠানিক লেনদেন দেশে কার্যরত সব নেটওয়ার্কের মাধ্যমে পরিচালনা বা সম্পন্ন করা যাবে। ‘বাংলা কিউআর’ ভিত্তিক লেনদেনের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক ধার্যকৃত ফি ও চার্জগুলো প্রযোজ্য হবে। ‘বাংলা কিউআর’ প্রচার ও প্রসারের লক্ষ্যে ব্যাংক বা পেমেন্ট সার্ভিস প্রোভাইডর/পেমেন্ট সিস্টেমস অপারেটর/মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিস প্রোভাইডর প্রতিষ্ঠানগুলো প্রয়োজনীয় গ্রাহক/মার্চেন্ট সচেতনতা বাড়ানোর উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে।

তখন আরও বলা হয়, ব্যবসায়ীরা প্রতিষ্ঠানে একটি কিউআর কোড প্রদর্শন করে লেনদেন করতে পারবে। কিউআর কোড ব্যবহার করে বাংলাদেশে আসা বিদেশি ব্যবসায়ী, চাকরিজীবী, পর্যটকরা আন্তঃযোগাযোগ সমাধান হিসেবে কিউআর কোড স্ক্যান করে পেমেন্ট করতে পারবেন। দেশের লেনদেন ব্যবস্থায় নতুন মাত্রা যোগ করার পাশাপাশি আর্থিক সেবা পৌঁছে যাবে জনগণের দোরগোড়ায়।

অর্থসূচক/এমএইচ/এমএস

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.