ধ্বংসস্তূপে চাপা পড়া মেয়ের হাত ধরে বসে আছেন বাবা

তুরস্ক ও সিরিয়ার সীমান্তবর্তী অঞ্চলে শক্তিশালী ভূমিকম্পে এখন চারিদিকে শুধু ধ্বংসস্তূপ। উদ্ধার হচ্ছে একের পর এক মরদেহ। দু-একজন জীবিত লোকও উদ্ধার হচ্ছে। ধ্বংসস্তূপের ভেতরে স্বজনের খোঁজ করছেন অনেকে। এই ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা ৫ হাজার ছাড়িয়েছে। এছাড়া আহত হয়েছেন আরও কয়েক হাজার মানুষ।

গত দুই দিন ধরে ভূমিকম্পে বিধ্বস্ত তুরস্ক-সিরিয়ার চিত্রটা প্রায় একই রকম। যার কিছু চিত্র নিজেদের ছবিতে তুলে আনছেন ফটোসাংবাদিকরা।

মঙ্গলবার (৭ ফেব্রুয়ারি) এএফপির ফটোগ্রাফার অ্যাডাম আলতানের তুলে আনা কয়েকটি ছবি নাড়া দিয়েছে সবাইকে। ছবিগুলো খুবই হৃদয়বিদারক। সেগুলোতে উঠে এসেছে এক অসহায় বাবার আর্তনাদের ছবি, উঠে এসেছে প্রকৃতির কাছে মানুষের বারবার অসহায়ত্বের চিত্র।

অ্যাডাম আলতানের ছবিতে দেখা যায়, শক্তিশালী ভূমিকম্পে লণ্ডভণ্ড তুরস্কের শহর কাহরামানমারাসের একটি বিধ্বস্ত ভবনের সামনে কারো হাত ধরে বসে আছেন এক ব্যক্তি। তার নাম মেসুত হেনসার। যার হাত ধরে তিনি বসে আছেন সে তার ১৫ বছর বয়সী কন্যা ইরকাম, যে চাপা পড়ে আছে কংক্রিটের স্ল্যাবের নিচে; যে আর বেঁচে নেই…।

মেসুত হ্যান্সারের অসহায়ত্বের কাছে শোকও যেন হার মেনেছে! তার চোখে নেই পানি, রাজ্যের হতাশা আর অসহায়ত্ব তার চোখেমুখে।

জীবিতদের উদ্ধারে উদ্ধারকর্মীরা তাদের কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। তবে উদ্ধারকারীদের কাজ আরও কঠিন করে তুলছে তুষারপাত ও বৃষ্টি। আগামী দিনে এ পরিস্থিতি আরো বৈরী হতে পারার আশঙ্কা করা হচ্ছে।

তুরস্ক এবং সিরিয়া সীমান্তে সোমবার ভোরের এই ভূমিকম্পে ৫ হাজারের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে, আহত হয়েছে ১৫ হাজারের বেশি মানুষ।

মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থার (ইউএসজিএস) তথ্য অনুযায়ী, স্থানীয় সময় সোমবার ভোর ৪টা ১৭ মিনিটে গাজিয়ানতেপ শহরের কাছে ভূপৃষ্ঠের ১৭.৯ কিলোমিটার নিচে ৭.৮ মাত্রার ভূমিকম্পটি আঘাত হানে। পরে আরও একটি শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হানে, রিখটার স্কেলে যার মাত্রা ছিল ৭.৫। এর কেন্দ্রস্থল ছিল কাহরামানমারাস প্রদেশের এলবিস্তান নামক জেলায়।

অর্থসূচক/এমএস

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.