‘আগামী বছর অতিরিক্ত ৬৫ হাজার কোটি টাকার রাজস্ব আদায় করতে হবে’

আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) ঋণের টাকা পেতে সরকারকে ২০২৪ অর্থবছরে বাজেটের মূল রাজস্ব আদায়ের সঙ্গে অতিরিক্ত ৬৫ হাজার কোটি টাকা কর আদায় করতে হবে বলে জানিয়েছে গবেষণা প্রতিষ্ঠান পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউট (পিআরআই)।

সোমবার (৬ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর বনানীতে পিআরআইয়ের কার্যালয়ে ‘ইমপ্লিকেশন অব আইএমএফ লোন কন্ডিশন অন ডমেস্টিক রেভিনিউ মবিলাইজেশন’ শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়।

পিআরআই জানায়, ২০২৪, ২০২৫ এবং ২০২৬ অর্থবছরে বাজেটের মূল রাজস্ব আদায়ের সঙ্গে অতিরিক্ত আরও ২ লাখ ৩৪ হাজার কোটি টাকা অতিরিক্ত রাজস্ব আয় করতে হবে। এর মধ্যে ২০২৪ অর্থবছরে অতিরিক্ত ৬৫ হাজার কোটি টাকা কর আদায় করতে হবে।

এসময় আরও জানানো হয়, সরকার আইএমএফকে বিভিন্ন প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। ট্যাক্স বাড়ানোর জন্য ২০২৬ সালের মধ্যে ১ কোটি লোককে টিনের আওতায় আনার কথা বলছে সরকার। একইসঙ্গে আগামী ৫ বছরের মধ্যে ৩০ হাজার ইলেকট্রনিকস যন্ত্র দিতে চায়। এরফলে ১০৫ বিলিয়ন ডলার রেভিনিউ আসবে বলে মনে করছেন সরকার।

এদিন সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন পিআরআইয়ের নির্বাহী পরিচালক ড. আহসান এইচ মনসুর ও গবেষণা পরিচালক এম এ রাজ্জাক।

আহসান এইচ মনসুর বলেন, এই লক্ষ্য একা একা হবে না। এটা নিয়ে সঠিকভাবে কাজ করতে হবে। তবে লক্ষ্যমাত্রা কিভাবে অর্জিত হবে তার কোনো সুনির্দিষ্ট তথ্য দেয়নি আইএমএফ। কারণ এই পরিকল্পনা তৈরি করতে ৮ থেকে ৯ মাস লেগে যায়। ট্যাক্স ও ভ্যাট থেকে কতটুকু আয় হয় সেদিকে নজর দিতে হবে। এছাড়া ইনকাম ট্যাক্সের কাভারেজ সঠিকভাবে দিতে পারলে ২ দশমিক ১ শতাংশ থেকে ৫ শতাংশ পর্যন্ত আয় বাড়ানো সম্ভব। এছাড়া পলিটিক্যাল লিডারশিপেরও দরকার আছে।

গবেষণা পরিচালক এম এ রাজ্জাক বলেন, আইএমএফের ঋণ পেতে শর্ত অনুযায়ী জিডিপিতে করের অবদান সাত দশমিক ৮ থেকে ২০২৪ অর্থবছরে ৮ দশমিক ৩ শতাংশ করতে হবে। বর্তমানে এই রেশিও ৭ দশমিক ৮ শতাংশ।  পরের বছর ২০২৫ অর্থবছরে আরও দশমিক ৫ শতাংশ বাড়িয়ে ৮ দশমিক ৮ শতাংশ করতে হবে। এছাড়া ২০২৬ সালেও দশমিক ৭ শতাংশ বাড়িয়ে ৯ দশমিক ৫ শতাংশে উন্নীত করতে হবে।

অর্থসূচক/এমএইচ/এমএস

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.