তুরস্ক-সিরিয়ায় ভয়াবহ ভূমিকম্প, নিহত ৬ শতাধিক

সোমবার ভোরে তুরস্ক এবং সিরিয়ার বিস্তীর্ণ অঞ্চলে ৭.৮ মাত্রার ভয়াবহ ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে৷ এতে সিরিয়ায় এখন পর্যন্ত তুরস্কে ২৮৪ জন, সিরিয়ায় ২৩৭ জন ও সিরিয়ার বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত এলাকায় ১৪৭ জন নিহত হয়েছেন৷ এছাড়া, ভেঙে পড়েছে শত শত ভবন। এসব ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকা পড়েছেন বহু মানুষ। ফলে হতাহতের সংখ্যা আরো বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

তুরস্কের দুর্যোগ ও জরুরি ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এখন পর্যন্ত তাদের দেশে ২৮৪ জন নিহত হয়েছে। আহত ছাড়িয়েছে আড়াই হাজার। এদিকে সিরিয়ায় নিহত বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৩৭ জনে। এ ছাড়া, সিরিয়ার বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত এলাকায় ১৪৭ জন নিহত হয়েছেন৷

ভূমিকম্পের এপিসেন্টার বা ভূকম্পন বিন্দু ছিল তুরস্কের গাজিয়ানটেপ৷ স্থানীয় সময় ভোর ৪টা ১৭ মিনিটে ভূমিকম্প শুরু হয় বলে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের জিওলজিক্যাল সার্ভে৷

‘৪০ বছর ধরে এখানে বাস করছি৷ আজকের মতো এমন অনুভূতি কখনো হয়নি’- বলে জানান গাজিয়ানটেপের বাসিন্দা এরদেম৷ কমপক্ষে তিনবার খুব ভালোভাবে ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে বলেও জানান তিনি৷

সিরিয়ার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে ২৩৭ জন নিহত ও ৬৩৯ জন আহত হয়েছে বলে জানিয়েছে৷ আলেপ্পো, লাটাকিয়া, হামা ও টার্টুস প্রদেশে এসব প্রাণহানি হয়েছে৷ এদিকে তুর্কিপন্থি গোষ্ঠীর নিয়ন্ত্রণে থাকা সিরিয়ার একটি অঞ্চলে আটজন প্রাণ হারিয়েছেন বলে সেখানকার এক চিকিৎসক এএফপিকে জানিয়েছেন৷

সিরিয়ায় ১৯৯৫ সালে জাতীয় ভূমিকম্প কেন্দ্র তৈরি হওয়ার পর এটিই সে দেশে আঘাত করা সবচেয়ে শক্তিশালী ভূমিকম্প বলে জানিয়েছেন ঐ কেন্দ্রের প্রধান রায়েদ আহমেদ৷

তুরস্কে সবচেয়ে বেশি প্রাণহানী হয়েছে মালাতিয়া প্রদেশে। এছাড়া দিয়ারবাকির এবং ওসমানিয়ে প্রদেশেও বহু হতাহতের খবর পাওয়া যাচ্ছে। তুরস্কে একটি শপিংমল ধসে পড়েছে।

তুরস্ক পৃথিবীর অন্যতম সক্রিয় ভূমিকম্প প্রবণ অঞ্চলগুলোর একটিতে অবস্থিত। এর আগে ১৯৯৯ সালে দেশটির উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে একটি শক্তিশালী ভূমিকম্পে ১৭ হাজারের বেশি মানুষ নিহত হয়েছিল। সূত্র: ডিডাব্লিউ, পার্সটুডে, এএফপি, রয়টার্স

অর্থসূচক/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.