মিউচুয়াল ফান্ডের টাকা আত্মসাৎ: ইউএফএস এর বিরুদ্ধে মামলা

নিজেদের পরিচালিত বিভিন্ন মিউচুয়াল ফান্ডের ২০৭ কোটি ৪৯ লাখ টাকা আত্মসাতের ঘটনায় সম্পদ ব্যবস্থাপনা প্রতিষ্ঠান ইউনিভার্সেল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস (ইউএফএস) লিমিটেডের ১৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। ফান্ডগুলোর ট্রাস্টি রাষ্ট্রীয়মালিকানার নন-ব্যাংক আর্থিক প্রতিষ্ঠান ইনভেস্টমেন্ট কর্পোরেশন অব বাংলাদেশ (আইসিবি) সম্প্রতি এ মামলা দায়ের করেছে। রাজধানীর পল্টন থানায় এই মামলা করা হয়েছে।

আইসিবি সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।

সূত্র অনুসারে, পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) মামলাটি তদন্ত করছে।

মামলায় ইউএফএসের চেয়ারম্যান সৈয়দ আলমগীর ফারুক চৌধুরী, কোম্পানির এমডি সৈয়দ হামজা আলমগীর, পরিচালক ইসরাত আলমগীর, আলিয়া হক আলমগীর, মাহিদ হক, মোহাম্মদ জাকির হোসেন, মোহাম্মদ মাসুম চৌধুরী, মোসাম্মত উম্মে ইসলাম সোহানা, সৈয়দা শেহরীন হোসেন, তারিক মাসুদ খান, সৈয়দা মেহরীন হুসেইনসহ অজ্ঞাতনামা আরও ১০-১৫ জনকে আসামী করা হয়েছে।

মামলার নথিতে বলা হয়েছে, অপরাধজনক বিশ্বাসভঙ্গ করে প্রতারণামূলকভাবে টাকা আত্মসাৎ করার অপরাধ চিহ্নিত হয়েছে। আত্মসাৎকৃত ২০৭ কোটি ৪৯ লাখ টাকা উদ্ধার করতে এ মামলা দায়ের করা হয়েছে।

আলোচিত সম্পদ ব্যবস্থাপনা প্রতিষ্ঠান ইউএফএস পপুলার লাইফ ইউনিট ফান্ড, ইউএফএস প্রগতি লাইফ ইউনিট ফান্ড, ইউএফএস পদ্মা লাইফ ইউনিট ফান্ড ও ইউএফএস ইউনিট ফান্ড নামে চারটি বেমেয়াদি মিউচুয়াল ফান্ড পরিচালনা করছে। এই ফান্ডগুলো থেকে জালিয়াতি করে ২০৭ কোটি টাকা সরিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। ফান্ডগুলোর ট্রাস্টি আইসিসির দায়িত্বে অবহেলার সুযোগে প্রতিষ্ঠানটি নির্বিঘ্নে এই অপকর্ম সম্পন্ন করেছে বলে সন্দেহ করা হচ্ছে।,

ধারণা করা হচ্ছে, দীর্ঘ সময় ধরে ফান্ডগুলো থেকে ধীরে ধীরে টাকা সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। ফান্ডের নীরিক্ষা প্রতিবেদনে যে ব্যাংক স্থিতি দেখানো হয়েছে, বাস্তবে ওই স্থিতি ছিল না। নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসির কাছে যে ব্যাংক স্টেটমেন্ট জমা দেওয়া হয়েছে, সেগুলোও ছিল জাল।

ওই জালিয়াতির ঘটনায় ফান্ডগুলোর নিরীক্ষক আহমেদ জাকের অ্যান্ড কোংকে পুঁজিবাজার সংক্রান্ত সকল প্রতিষ্ঠানের নিরীক্ষা কার্যক্রমে আজীবন নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.