সাকিবের বিতর্কের দিনে বরিশালের প্রথম জয়

লক্ষ্যে নেমে ইনিংস শুরুর আগেই বিতর্ক। যে বিতর্কের মূলে ছিলেন সাকিব, বাঁহাতি এই ব্যাটার স্ট্রাইক প্রান্তে গেলে তখন বোলিংয়ে আসেন শেখ মেহেদি হাসান। যা দেখে নিজেদের সিদ্ধান্ত বদল করে বরিশাল। সেসময় প্রথম বল খেলার সিদ্ধান্ত নেন বিজয়। তাদের এমন পরিবর্তন দেখে মেহেদিকে সরিয়ে বাঁহাতি স্পিনার রকিবুল হাসানকে বোলিংয়ে আনেন রংপুর অধিনায়ক নুরুল হাসান সোহান।

রংপুরের এমন সিদ্ধান্ত পরিবর্তনে চটেছেন সাকিব। ফলে ড্রেসিং রুম থেকে বেরিয়ে আসেন বাংলাদেশের অভিজ্ঞ এই অলরাউন্ডার। সাকিব মেহেদির বিপক্ষে বিজয়কে ব্যাটিংয়ে চাচ্ছিলেন। তবে সেটার অনুমতি দিচ্ছিলেন না আম্পায়াররা। ফলে সীমানার কাছে দাঁড়িয়ে দুই ব্যাটারকে ড্রেসিংরুমে ফিরে আসতে বলেন সাকিব। বিজয় আর চতুরঙ্গা সেটা না করলে নিজেই মাঠে প্রবেশ করেন তিনি। সেসময় আম্পায়ারের সঙ্গে তর্কেও জড়ান বরিশালের অধিনায়ক। যদিও পরবর্তিতে সাকিবকে বুঝিয়ে ড্রেসিংরুমে পাঠিয়ে খেলা শুরু করেন আম্পায়ার এবং প্রথম বল খেলেন চতুরঙ্গা আর বোলিং করেন রকিবুল।

১৫৯ রানের লক্ষ্যে ইনিংস শুরু করে দলীয় ২ রানে চতুরাঙ্গাকে হারিয়ে বসে বরিশাল। এক রানে রকিবুলের বলে বেনি হাওয়েলকে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন তিনি। সঙ্গী হারিয়ে এনামুল হক বিজয় একপ্রান্তে রান তুললেও আম্পায়ারের ভুল সিদ্ধান্তে তিনিও আউট হন দ্রুত। ১৮ রানে ২ ওপেনার ফিরলেও মেহেদি মিরাজ ও ইবরাহিম জাদরান মিলে হাল ধরেন বরিশালের। দুজন মিলে দলকে নিয়ে যান ৫০’র ওপর। পাওয়ার প্লে’তে ৫০ পেরিয়ে আরও আক্রমণাত্মক হয়ে ওঠে এই জুটি। বিশেষ করে মিরাজ দ্রুত গতিতে রান তুলতে থাকেন।

তাদের ব্যাটে দল ১০০’র ঘরে পৌঁছালেও মিরাজ আউট হন ২৯ বলে ৪৩ করে। রবিউলের ওভারে মিরাজ আউট হলেও ইবরাহিম তুলে নেন হাফ সেঞ্চুরি। দলীয় ১২৪ রানে অবশ্য তিনিও আউট হন ৪১ বলে ৫২ রান করে। এরপর অবশ্য আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি বরিশালকে। করিম জানাত ও ইফিতখার আহমেদ মিলে দলকে নিয়ে যান জয়ের বন্দরে। ছক্কা হাঁকিয়ে দলের প্রথম জয় নিশ্চিত করেন ইফতিখার। ইফতিখার ১৮ বলে ২৫ ও করিম ১৪ বলে ২১ রানে অপরাজিত থাকেন।

এর আগে টসে জিতে রংপুরকে শুরুতে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ জানান বরিশাল অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। ব্যাট করতে নেমে স্কোরবোর্ডে কোন রান যোগ করার আগেই নাইম শেখকে হারিয়ে বসে রংপুর। শুরুর ধাক্কা সামাল দেয়ার আগেই দলীয় ২৩ রানে ফিরে যান শেখ মাহাদিও।

চারে নামা সিকান্দার রাজাকে নিয়ে আরেক ওপেনার রনি তালুকদার রান বাড়াতে থাকলেও পঞ্চম ওভারে বিদায় নেন রাজাও। ৪১ রানে ৩ ব্যাটারকে হারালেও রনি ও মালিকের ব্যাটে এগোতে থাকে রংপুর। কিন্তু নবম ওভারে ২৮ বলে ৪০ রান করে আউট হন রনি। সঙ্গী হারালেও নুরুল হাসানকে নিয়ে দলকে ১০০’র পথে নিতে থাকেন মালিক। তবে দলীয় ৯৯ রানে সোহান ও ১১৬ এবং ১১৭ রানে বেনি হাওয়েল ও আজমতউল্লাহকে হারিয়ে বিপাকে পড়ে রংপুর। তারপরও মালিক একপ্রান্ত ধরে রেখে দলকে টেনে নিতে থাকেন। শেষ ওভারে এসে দলকে ১৫০’র ঘরে নিয়ে যাওয়ার সঙ্গে ছক্কা হাঁকিয়ে ৩৫ বলে ৫০ পূরণ করেন মালিক। সেই ওভারে আরও ২টি ছক্কা হাঁকান রবিউল হক। ফলে ১৫৮ রানে গিয়ে থামে রংপুরের ইনিংস। মেহেদি হাসান মিরাজ ও চতুরাঙ্গা ডি সিলভা নেন ২টি করে উইকেট।

অর্থসূচক/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.