হতাশ অশ্বিনের প্রশংসার প্রতিউত্তরে যা বললেন লিটন

ক্যারিয়ারের শুরু থেকেই লিটনের ব্যাটে ছিল অভিজাত্যের ছাপ। তবে কোনভাবেই যেন ধারাবাহিক হতে পারছিলেন না। কিন্তু চলতি বছর তিন ফরম্যাটের ক্রিকেটেই তার ব্যাটে রানের ফোয়ারা। দলের অন্যতম সেরা পারফর্মারও এই উইকেটকিপার ব্যাটার। তবুও যেন তার ব্যাটে মন ভরছে না রবিচন্দ্রন অশ্বিনের।

ভারতের বিপক্ষে টেস্ট দিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে পা রেখেছিলেন লিটন দাস। অভিষেকেই ৪৪ রানের ইনিংস খেলেছিলেন এই উইকেটকিপার ব্যাটার। এই ইনিংসটাকে বড় কোনো অর্জন হিসেবে দেখার হয়তো সুযোগ নেই। তবে এই ইনিংসে তার যে ৮টি চার এবং একটি ছক্কার মার ছিল। তা ছিল চোখ জুড়ানো। সাদা পোশাকের ক্রিকেটে এমন রঙিন অভিষেকের পর সাদা বলের ক্রিকেটেও নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন দ্রুতই। ওয়ানডেতে নিজের অভিষেক সেঞ্চুরি পেয়েছিলেন ভারতের বিপক্ষে, সেটাও আবার এশিয়া কাপের ফাইনালে। আর সর্বশেষ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ভারতের বিপক্ষে তার করা দুর্দান্ত হাফ সেঞ্চুরিটিও ছিল মনে রাখার মতো।

শুধুই ভারত নয়, ক্যারিয়ারজুড়েই বিশ্বমানের সব বোলিং লাইনআপের বিপক্ষেই ব্যাট হাতে আলো ছড়িয়েছেন লিটন। বড় টুর্নামেন্টগুলোতেও কথা বলেছে তার ব্যাট। তাই ডানহাতি এই ব্যাটারকে তার ব্যাটিং প্রসঙ্গে ভারতের এই অভিজ্ঞ স্পিনার রবিচন্দ্রন অশ্বিন বলেছিলেন, ‘অভিষেক ম্যাচে আমি তোমার খেলার ধরণ দেখেছিলাম (২০১৫ সালে)। ভেবেছিলাম বাংলাদেশের ক্রিকেটকে এগিয়ে নিতে তুমি পথপ্রদর্শক হবে। কিন্তু আমি খানিকটা হতাশ হয়েছি। আমি ভেবেছিলাম তুমি স্টিভ স্মিথ, বিরাট কোহলি, কেন উইলিয়ামসন এবং জো রুটের পর্যায়ে পৌঁছাবে।’

বাংলাদেশ ঘরের মাঠে যে কয়টা ম্যাচ খেলে তার বেশিরভাগই হয় মিরপুরে। আর বাংলাদেশের হোম অব ক্রিকেটের উইকেটে রান করতে ব্যাটারদের লড়াই করতে হয়। অশ্বিনের এমন প্রশংসার প্রতিউত্তরে লিটন বলেছিলেন, ‘এটা আমিও মানি। কিন্তু আমাদের এখানের সংস্কৃতি আলাদা। আমরা এখানে (মিরপুর) খেলার কারণে সেভাবে আলোচনায় আসি না। তাই আমরা যখন ভিন্ন পিচে খেলি তখন আমাদের মানিয়ে নিতে সময় লাগে।’

অর্থসূচক/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.