ওয়ালটন দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে অবদান রাখছে: ভূমিমন্ত্রী

ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী বলেছেন, ওয়ালটন দেশের গর্ব, এই প্রতিষ্ঠান জাতীয় সম্পদে পরিণত হয়েছে। ওয়ালটন দেশের অর্থনৈতিক বিকাশ, অগ্রগতি ও প্রবৃদ্ধিতে বিশাল অবদান রাখছে।

তিনি বলেন, তারা ফ্রিজ, টিভি, এয়ার কন্ডিশনার, ওয়াশিং মেশিন, স্মার্টফোন ইত্যাদি পণ্য উৎপাদন করছে। একটা ফ্রিজ তৈরির প্রয়োজনীয় সমস্ত উপকরণ নিজেরাই তৈরি করছে। ইউরোপ, আমেরিকা ও এশিয়ার দেশগুলোতে এসব পণ্য রপ্তানি করছে। এটা আমাদের জন্য অনেক বড় অর্জন।

বুধবার (২১ ডিসেম্বর) গাজীপুরের চন্দ্রায় ওয়ালটন হেডকোয়ার্টার পরিদর্শন শেষে এসব কথা বলেন ভূমিমন্ত্রী। এ সময় মন্ত্রীর সফরসঙ্গী হিসেবে ছিলেন ভূমি মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মোস্তাফিজুর রহমান।

অতিথিদের ফুল দিয়ে স্বাগত জানান ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ পিএলসি’র ভাইস চেয়ারম্যান এস এম শামছুল আলম, পরিচালক এস এম আশরাফুল আলম, এস এম রেজাউল আলম ও এস এম মঞ্জুরুল আলম এবং ম্যানেজিং ডিরেক্টর ও সিইও গোলাম মুর্শেদ।

অতিথিরা প্রথমে ওয়ালটনের বিভিন্ন পণ্যের উৎপাদন প্রক্রিয়ার ওপর নির্মিত ভিডিও ডক্যুমেন্টারি উপভোগ করেন। এরপর তারা ওয়ালটনের সুসজ্জিত প্রোডাক্ট ডিসপ্লে সেন্টার ঘুরে দেখেন। পরে তারা ওয়ালটনের রেফ্রিজটারেটর, কম্প্রেসর, লিফট, মেটাল কাস্টিং, মোল্ড, এসএমটিসহ বিভিন্ন পণ্য ও যন্ত্রাংশের অত্যাধুনিক প্রযুক্তির প্রোডাকশন প্ল্যান্ট সরেজমিনে পরিদর্শন করেন।

পরিদর্শন শেষে ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী বলেন, ওয়ালটনে এসে আমার ধারণাই পাল্টে গেছে। ওয়ালটন এতো সুন্দর ও ইন্ট্রিগ্রেটেড একটা ম্যানুফ্যাকচারিং ভিলেজ গড়ে তুলেছে। দেশের অনেক বড় বড় গ্রুপের ব্যাকওয়ার্ড লিংকেজ ফ্যাক্টরি থাকলেও তা বিচ্ছিন্নভাবে রয়েছে। কিন্তু ওয়ালটন একটা জায়গাতেই ফিনিশড গুডস ও খুচরা যন্ত্রাংশের ম্যানুফ্যাকচারিং প্লান্ট গড়ে তুলেছে। অনেক শ্রম ও চ্যালেঞ্জ নিয়ে একটা ইন্টিগ্রেটেড ম্যানুফ্যাকচারিং ভিলেজ গড়ে তোলায় ওয়ালটনের উদ্যোক্তাদের ধন্যবাদ।

তিনি আরো বলেন, এক সময় দেশের ইলেকট্রনিক্স পণ্যের চাহিদা মেটানো হতো আমদানিকৃত পণ্য দিয়ে। ওয়ালটন এখন ইলেকট্রনিক্স পণ্যের পাশাপাশি আনুষঙ্গিক যন্ত্রাংশও উৎপাদন করছে। বিশ্বের বড় বড় ব্র্যান্ড বাংলাদেশের ওয়ালটনের কাছ থেকে পণ্য নিচ্ছে। এটা আমাদের জন্য বিশাল অর্জন।

মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের বর্তমান অর্থনৈতিক বিকাশ, অগ্রগতি ও প্রবৃদ্ধিতে ওয়ালটনের মতো বেসরকারি খাতের অবদান অনেক। স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে ওয়ালটন এখন দেশের সীমানা ছাড়িয়ে গেছে। তারা একদিকে আমদানি নির্ভরতা কমিয়েছে, অন্যদিকে পণ্য রপ্তানির মাধ্যমে দেশের জন্য প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা আয় করছে।

সরকার দেশীয় প্রতিষ্ঠানগুলোকে অগ্রাধিকার দিচ্ছে জানিয়ে ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী বলেন, ভূমি মন্ত্রণালয় এবং অফিসগুলোকে ডিজিটালাইজেশন কার্যক্রমে দেশীয় উদ্যোক্তারা যাতে অংশ নিতে পারেন, সেজন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

পরিদর্শনকালে অন্যদের মধ্যে আরো উপস্থিত ছিলেন ওয়ালটনের ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর আলমগীর আলম সরকার, সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর মোহাম্মদ তানভীর রহমান, কর্নেল (অবঃ) শাহাদাত আলম, ইউসুফ আলী, মোস্তফা নাহিদ হোসেন, সোহেল রানা, ফিরোজ আলম, ইয়াসির আল ইমরান, মাহফুজুর রহমান, আল ইমরান, এস এম জাহিদ হাসান, শাহিনূর সুলতানা ও তোফায়েল আহমেদ, এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর মোহাম্মদ শাহজাদা সেলিম, শরীফ হারুনুর রশীদ, শাহজালাল হোসেন লিমন, আবদুল্লাহ আল মামুন, মোহসিন আলী মোল্লা প্রমুখ।

অর্থসূচক/এইচএআই/

 

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.