ভারতের বিপক্ষে টেস্টে অনিশ্চিত তাসকিন

ভারতের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজের প্রথম ২ ম্যাচ খেলা হয়নি তাসকিন আহমেদের। তবে শেষ ওয়ানডেতে এই পেসারকে নিয়েই মাঠে নেমেছিল বাংলাদেশ। যদিও সেদিন বল হাতে আলো ছড়াতে পারেননি তিনি। ৯ ওভার বল করে ২ উইকেট নিলেও রান দিয়েছিলেন ৮৯। এই পেসারের গতিও ছিল ঘণ্টায় ১৩০ কিলোমিটারের ঘরে। দেখেই বোঝা যাচ্ছিল, পিঠের চোট কাটিয়ে ফিরলেও পুরোনো ছন্দে নেই তিনি। এসব কারণেই ভারতের বিপক্ষে চট্টগ্রাম টেস্টে তাসকিন খেলবেন কি না, সেটি এখনো নিশ্চিত নয়।

ম্যাচের দুদিন আগে চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে সংবাদ সম্মেলনে এসে তাসকিন নিজেই জানিয়েছেন বিষয়টি। তিনি বলেন, ‘এই ম্যাচের আগে যদি বোলিং লোড পুরোপুরি হয়, যদি টিম ম্যানেজম্যান্ট মনে করে আমি খেলব, তাহলে খেলব। যদি না হয়ে থাকে, তাহলে হয়তো এই টেস্টটা ম্যানেজম্যান্ট নাও খেলাতে পারে। সে ক্ষেত্রে দ্বিতীয় টেস্টটা লক্ষ্য করতে হবে।’

তাসকিন আরও যোগ করেন, ‘এটা নিয়ে এর মধ্যে টিম ম্যানেজম্যান্টের সঙ্গে কথা হয়েছে। যেহেতু মাত্রই চোট থেকে ফিরেছি, তাঁরা আমার বিল্ড আপ নিয়ে দুশ্চিন্তা করছে। ওয়ার্কলোড বিল্ড আপ, ফিটনেস, বোলিং লোড-সবকিছু বাড়ানো নিয়ে কাজ করছি। আমার সঙ্গে এ নিয়ে কথা হয়েছে। আমাকে ওয়ার্কলোড প্ল্যান দেওয়া হয়েছে। সে অনুযায়ী কাজ করছি।’

তাসকিন সর্বশেষ টেস্ট খেলেছেন গত মার্চে, সাউথ আফ্রিকার আফ্রিকার বিপক্ষে। সেই টেস্ট চলাকালীন সময়ও পিঠের চোটে পড়েন এই পেসার। এরপর শ্রীলঙ্কা ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজ খেলেছে বাংলাদেশ। সেখানেও ডানহাতি এই পেসারকে নিয়ে ঝুঁকি নেননি নির্বাচকেরা। এরপর ওয়ানডে সিরিজ শুরুর আগে ৫০ ওভারের বাংলাদেশ ক্রিকেট লিগের (বিসিএল) প্রথম ম্যাচে পিঠের চোটে পড়েন তাসকিন। যে কারণে ছিলেন না প্রথম ওয়ানডের স্কোয়াডে। এরপর রাসেল ডমিঙ্গো জানিয়েছিলেন, ফিট তাসকিনকে পেতে ওয়ানডে সিরিজে তাকে নাও খেলাতে পারে ম্যানেজম্যান্ট। যদিও শেষ ম্যাচে একাদশে ছিলেন তিনি।

অর্থসূচক/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.