ডাবল সেঞ্চুরির রেকর্ড করে ফিরলেন কিশান

ভারতকে হোয়াইটওয়াশের লক্ষ্য নিয়ে সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডেতে মাঠে নেমেছে বাংলাদেশ। এই ম্যাচে টসে জিতে আগে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন বাংলাদেশ অধিনায়ক লিটন দাস। যদিও উইকেটের দেখা পেতে বাংলাদেশের অপেক্ষা করতে হয়েছে পঞ্চম ওভার পর্যন্ত। এরপর বাকি সময়টা ছিল শুধু ইশান কিশানের রাজত্ব।

মেহেদী হাসান মিরাজের করা লেন্থ ডেলিভারিতে পরাস্ত হয়ে এলবিডব্লিউ হয়ে ফিরেছেন শিখর ধাওয়ান। যদিও শুরুতে আউট দেননি আম্পায়ার। রিভিউ নিলে দেখা যায় বল অফ স্টাম্পের বাইরে পিচ করলেও ইম্পেক্ট ও হিটিং উইকেটের মধ্যেই।

ইনিংসের সপ্তম ওভারে বিরাট কোহলির ক্যাচ ছেড়েছেন লিটন। ব্যক্তিগত এক রানে তিনি মিরাজের বলে ফ্লিক করতে চেয়েছিলেন। তবে ব্যাটে-বলে ঠিকমতো না হলে তা চলে যায় শর্ট মিড উইকেটে। সেখানে ফিল্ডিং করা লিটন সহজ ক্যাচ নিতে পারেননি।

এদিকে শুরুতে দেখেশুনে খেললেও উইকেটে থিতু হয়েই হাতখুলে খেলেছেন ইশান কিশান। তিনি ৪৯ বলে হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন। সেঞ্চুরি পেতে তিনি খেলেছেন মাত্র ৮৫ বল। একপ্রান্তে কিশান যখন বাংলাদেশের বোলারদের রীতিমতো তুলোধোনা করছেন অন্যপ্রান্তে ধীরস্থির ব্যাটিং করেছেন কোহলি। তিনি হাফ সেঞ্চুরি তুলে নিতে খেলেছেন ৫৪ বল। এর খানিক বাদেই কিশান ব্যক্তিগত দেড়শো তুলে নেন ১০২ বলে। এর আগে অবশ্য সাকিব আল হাসানের হাতে একবার জীবন পেয়েছেন ভারতীয় এই বাঁহাতি ব্যাটার।

২০তম ওভারে মিরাজের বলে ওয়াইড লং অন দিয়ে উড়িয়ে মেরেছিলেন তিনি। যদিও ব্যাটে-বলে মেলাতে না পারলে সাকিবের চেষ্টায় বাউন্ডারিতে প্রায় ধরা পড়ে গিয়েছিলেন তিনি। এক হাতে ক্যাচ নেয়ার চেষ্টা করেন সাকিব এরপর বাঁহাতের বাহুতে লেগে ডান হাতের তালুতে জমা পড়ে বল। যদিও টিভি রিপ্লেতে দেখা যায় বল ডানহাতের তালুতে জমা পড়ার আগে বল মাটি ছুঁয়ে গিয়েছিল। ফলে এ যাত্রায় বেঁচে যান কিশান।

একবার জীবন পাওয়ার পর আরও আক্রমণাত্মক হয়ে উঠেছিলেন কিশান। বাংলাদেশের কোনো বোলারকেই তিনি ছাড় দেননি। তাসকিন-সাকিব-এবাদত কেউই কিশানের ছক্কার হাত থেকে রেহাই পাননি। মাত্র ১২৬ বলে ক্যারিয়ারের প্রথম ডাবল সেঞ্চুরি তুলে নেন এই ভারতীয় ব্যাটার। তার ইনিংস জুড়ে রয়েছে ৯টি ছক্কা ও ২৪টি চারের মার। ওয়ানডে ক্রিকেটের ইতিহাসে এটাই সবচেয়ে দ্রুততম ডাবল সেঞ্চুরির রেকর্ড।

অর্থসূচক/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.