নয়াপল্টনে নাশকতা হতে পারে- এমন গোয়েন্দা তথ্য আছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার কমিশনার (অপারেশন) এ কে এম হাফিজ আক্তার। তিনি বলেন, বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশকে কেন্দ্র করে গত কয়েকদিন কিছু ঘটনা ঘটেছে। তাই সমাবেশ ও মানুষের নিরাপত্তা দিয়ে অতি গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাতেও নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে, যাতে কোনও অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা না ঘটে। নয়াপল্টনে নাশকতা হতে পারে, এমন গোয়েন্দা তথ্য আছে, গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে এলাকাটি অবরুদ্ধ করে রেখেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। তবে আমরা আশা করি এমন কিছু হবে না।
শনিবার (১০ ডিসেম্বর) দুপুরে রাজধানীর নয়াপল্টন এলাকায় নিরাপত্তা পরিস্থিতি পরিদর্শন এসে সাংবাদিকদের কাছে তিনি এসব কথা জানান।
নয়াপল্টনের সড়ক বন্ধ রাখা হয়েছে- এই প্রসঙ্গে ডিএমপির এই কর্মকর্তা বলেন, ‘আশঙ্কা আছে বলেই রাস্তা বন্ধ রাখা হয়েছে। নিরাপদ মনে হলে খুলে দেওয়া হবে। সমাবেশ করে বিএনপির সবাই চলে না যাওয়া পর্যন্ত পুলিশ নিরাপত্তা দেবে।’
নয়াপল্টন এলাকা কতদিন অবরুদ্ধ থাকবে, এ প্রশ্নে তিনি বলেন, এভাবে সবসময় থাকবে না। তিনদিন আগে যেহেতু একটা ঘটনা ঘটেছে, আজ সমাবেশের পরই আমরা সিদ্ধান্ত নেবো চলাচলের রাস্তা ও দোকানপাট খুলে দেওয়া যায় কি না। এটা একসময় উন্মুক্ত হয়ে যাবে, স্বাভাবিক হয়ে যাবে।
এর আগে সকাল ১১টায় নয়াপল্টনে নিরাপত্তা পরিদর্শনে আসেন অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার ডিএমপি’র গোয়েন্দা বিভাগের প্রধান হারুন অর রশিদ। পরিদর্শন শেষে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে চলাফেরা করছে কোথাও কোনও যানজট, কোনও ঝামেলা নেই। অনুষ্ঠানটি ঘিরে আমাদের পর্যাপ্ত পুলিশ দায়িত্ব পালন করছে। ২০ হাজারের উপরে পুলিশ সদস্য কাজ করছে। আমরা মনে করি, সমাবেশটি সুন্দরভাবে সমাপ্ত হবে। যেহেতু সমাবেশটি হচ্ছে গোলাপবাগ মাঠে। সামনে অনেকগুলো স্থাপনা আছে।’
ডিবি প্রধান বলেন, সমাবেশটি সুন্দরভাবে করার জন্য যা যা করা দরকার সবরকম ব্যবস্থা আমরা করেছি। কোথাও কোনও যানজট নেই, কোথাও কোনও বিশৃঙ্খলা নেই। সুন্দরভাবে কিন্ত মানুষ চলাচল করছে। তারপরও আমরা আশা করি কোন বিশৃঙ্খলা ঘটবে না। এছাড়া আজ শনিবার, তাই এমনি মানুষের চলাচল সীমিত। কিছু দিন আগে এই সমাবেশকে কেন্দ্র করে এখানে উত্তেজনা ছিল। এই উত্তেজনার কারণে হয়তো যাদের কাজকর্ম নেই তারা এখন বের হচ্ছেন না।
অর্থসূচক/এএইচআর
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.