১৫৪ রোহিঙ্গাকে উদ্ধার করল ভিয়েতনামি নৌযান

১৫৪ রোহিঙ্গাকে আন্দামান সাগরে ডুবন্ত একটি নৌকা থেকে উদ্ধার করেছে ভিয়েতনামি একটি নৌযান এরপর তাদেরকে মিয়ানমারের নৌবাহিনীর হাতে তুলে দিয়েছে।

ডুবন্ত ওই নৌকা থেকে যে ১৫৪ রোহিঙ্গাকে উদ্ধার করা হয়েছে, তাদের মধ্যে ৪০ নারী ও ৩১টি শিশু ছিল বলেও জানিয়েছে তারা।

বৃহস্পতিবার ভিয়েতনামের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা এ কথা জানায় বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।

ভিটিসি নিউজ জানায়, সিঙ্গাপুর থেকে মিয়ানমার যাওয়ার পথে বুধবার মিয়ানমার উপকূল থেকে ২৮৫ মাইল দক্ষিণে ভিয়েতনামি নৌযান হাই ডুয়ং ২৯ ডুবন্ত ওই নৌকাটি দেখতে পায়।

রোহিঙ্গা মুসলিমরা মিয়ানমারে দীর্ঘদিন ধরেই দমনপীড়নের শিকার হয়ে আসছে; দেশ থেকে পালিয়ে মালয়েশিয়া বা ইন্দোনেশিয়ায় পৌঁছাতে সংখ্যালঘু এ সম্প্রদায়ের অনেককেই সাম্প্রতিক সময়ে ছোট নৌকা করে সমুদ্র পাড়ি দেওয়ার চেষ্টা করতে দেখা যাচ্ছে।

হাই ডুয়ং ২৯ যখন রোহিঙ্গাবোঝাই নৌকাটি দেখতে পায় তখন ইঞ্জিন বিকল হয়ে পড়া নৌকাটির ভেতরে ফুটো দিয়ে পানি ঢুকছিল, জানিয়েছে ভিটিসি নিউজ।

রোহিঙ্গাদের উদ্ধার করার ঘণ্টাখানেক পর ওই নৌকাটি ডুবে যায়।

উদ্ধার রোহিঙ্গাদের বৃহস্পতিবারই মিয়ানমারের নৌবাহিনীর হাতে তুলে দেওয়া হয় বলে ভিটিসি  নিউজের প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।

ওই রোহিঙ্গাদের ভাগ্যে এরপর কী ঘটেছে তা জানা যায়নি। এ প্রসঙ্গে কথা বলতে তাৎক্ষণিকভাবে মিয়ানমার জান্তার মুখপাত্রের সঙ্গেও যোগাযোগ করতে পারেনি রয়টার্স।

ভিয়েতনামের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং ভিয়েতনামি নৌযানটির মালিক হাই ডুয়ং পেট্রলিয়াম অ্যান্ড মেরিন কর্পোরেশনের কাছে এ ব্যাপারে মন্তব্য চাওয়া হলেও তাৎক্ষণিকভাবে তাদের সাড়া পাওয়া যায়নি।

গত সপ্তাহে জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা ইউএনএইচসিআর জানিয়েছে, চলতি বছর মিয়ানমার ও বাংলাদেশের মাঝখানে থাকা আন্দামান সাগর পাড়ি দিতে চাওয়াদের সংখ্যায় ‘নাটকীয় বৃদ্ধি’ দেখা গেছে।

২০২২ সালে এখন পর্যন্ত অন্তত এক হাজার ৯০০ জন ক্রসিংটি পাড়ি দেওয়ার চেষ্টা করেছেন, যা ২০২০ সালের ছয়গুণ। পালানোর চেষ্টা করা মানুষদের মধ্যে এবছর অন্তত ১১৯ জনের মৃত্যুও হয়েছে, বলেছে ইউএনএইচসিআর।

অর্থসূচক /

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.