পল্টনে ককটেল বিস্ফোরণে ৭৫ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা

রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপি কার্যালয়ের সামনে ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনাকে কেন্দ্র করে পুলিশ বিএনপির ১৫ নেতাকর্মীর নাম উল্লেখ্য করে এবং অজ্ঞাত  ৫০ থেকে ৬০ জনের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করে।

রোববার (৪ ডিসেম্বর) পল্টন মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. শামীম হোসেন বাদী হয়ে বিস্ফোরক দ্রব্যাদি আইনে মামলাটি করেন।

দুপুরে মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পল্টন মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সালাহউদ্দীন মিয়া।

মামলায় আসামি হিসেবে যাদের নাম আছে তারা হলেন, তারিকুল ইসলাম, শ্রমিক দলের কর্মী মো. আবু বক্কর, বিএনপির কর্মী আবু ছায়েদ পাটোয়ারী, মহানগর দক্ষিণ যুবদলের আহ্বায়ক গোলাম মওলা শাহিন, পল্টন থানা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক লিয়ন হোসেন ওরফে লিয়ন হক, বিএনপির ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের সাধারণ সম্পাদক সরফুদ্দিন খাম মুন্না, মহানগর দক্ষিণ বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক সেকেন্দার কাদির, পল্টন থানা ছাত্রদলের সদস্য সচিব মওদুদ আহমেদ ও পল্টন থানা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক মাহবুবুর রহমান ইমতিয়াজ।

এছাড়া পল্টন থানা ছাত্রদলের যুগ্ম আহবায়ক মো. নোমান খান, বিএনপির শান্তিনগর বাজার ইউনিটের সভাপতি মো. জসিম, পল্টন থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো. কাজী হাসিবুর রহমান শাকিল, পল্টন থানা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি আরিফুল হক আরিফ, পল্টন থানা যুবদলের সভাপতি আসিফ ওমর ফারুক, বিএনপির ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের সভাপতি মো. সালাহউদ্দিন।

এছাড়া বিএনপি, যুবদল, ছাত্রদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও এর অঙ্গসংগঠনের ৫০/৬০ নেতাকর্মীদের কথা উল্লেখ করা হয়েছে মামলা।

মামলার এজাহারে বলা হয়, শনিবার (৩ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় নয়াপল্টনে বিএনপি কার্যালয়ের সামনে মহানগর দক্ষিণ যুবদলের আহ্বায়ক পলাতক আসামি গোলাম মওলা শাহীনের নেতৃত্বে পলাতক আসামি ও অজ্ঞাতনামা ৫০/৬০ জন আকস্মিকভাবে সরকারবিরোধী স্লোগান দিতে থাকে। এক পর্যায়ে জনমনে আতঙ্কসৃষ্টি, ব্যক্তি ও সম্পত্তির ক্ষতি করার উদ্দেশ্যে পুলিশকে লক্ষ্য করে একটি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায়। ঘটনাস্থল থেকে তিনজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

অর্থসূচক / এইচএআই

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.