যোগ্য হিসেবেই ফাইনালে পাকিস্তান, হারের পর উইলিয়ামসন

কোনোরকমে সেমি-ফাইনালের টিকিট নিশ্চিত করা পাকিস্তানের পকেটে এখন ফাইনালের টিকিট। এই যাত্রায় আরও একবার কিউইদের স্বপ্ন ভঙ্গ করেছে বাবর আজমের দল। সেমি-ফাইনালে নিউজিল্যান্ডকে ৭ উইকেটে হারিয়ে ফাইনাল নিশ্চিত করেছে পাকিস্তান। সিডনি ক্রিকেট গ্রাউন্ডে জয়ের জন্য ১৫৩ রান তাড়া করতে নেমে প্রথম ওভারেই উইকেট হারাতে পারতো পাকিস্তান। বোল্টের সুইং করা ডেলিভারিতে সোজা ব্যাটে খেলতে গিয়ে উইকেটে পেছনে ক্যাচ তুলে দিয়েছিলেন বাবর। তবে সেটা লুফে নিতে পারেননি ডেভন কনওয়ে। তাতে শূন্য রানেই জীবন পান পাকিস্তানের অধিনায়ক। জীবন পেয়ে রিজওয়ানকে সঙ্গে নিয়ে পাকিস্তানকে দারুণ শুরু এনে দেন বাবর। পাওয়ার প্লের সুবিধা কাজে লাগিয়ে প্রথম ৬ ওভারে বিনা উইকেটে ৫৫ রান তুলে তারা। পুরো টুর্নামেন্টে ছন্দে ছিলেন না বাবর। যে কারণে পাকিস্তানের অধিনায়ককে নিয়ে ব্যাপকভাবে সমালোচনার তৈরি হয়। তবে গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে ৩৮ বলে হাফ সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন বাবর।

রিজওয়ানের সঙ্গে শতরানের জুটি গড়েন তিনি। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে একমাত্র জুটি হিসেবে তিনটি শতরানের পার্টনারশিপ গড়েন বাবর ও রিজওয়ান। হাফ সেঞ্চুরির পর বাবর আউট হয়েছেন পাকিস্তানের অধিনায়ক। বোল্টের বলে লং অন দিয়ে উড়িয়ে মারতে গিয়ে মিচেলের হাতে ক্যাচ দেন তিনি। ফলে ৫৩ রানে ফিরতে হয় বাবরকে। এরপর হাফ সেঞ্চুরির দেখা পান রিজওয়ানও। এই উইকেটকিপার ব্যাটার হাফ সেঞ্চুরি পেয়েছেন ৩৬ বলে। দলকে জয়ের খুব কাছে নিয়ে গিয়ে সাজঘরে ফেরেন রিজওয়ান। ৫৭ রান করা এই ব্যাটারকে আউট করেছেন বোল্ট। তাকে সঙ্গ দেয়া মোহাম্মদ হারিস আউট হওয়ার আগে করেছেন ৩০ রান। শেষ পর্যন্ত ৭ উইকেটের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে পাকিস্তান।

ম্যাচ শেষে নিজেদের পারফরম্যান্সে হতাশা প্রকাশ করে উইলিয়ামসন বলেন, ‘খুবই হতাশাজনক ব্যাপার যে আমরা পাকিস্তানের কাজকে কঠিন করে তুলতে পারিনি। তারা অসাধারণ খেলেছে। আমরা দাঁড়াতেই পারিনি। এই হার হজম করা কঠিন। বাবর আর রিজওয়ান আমাদের আমাদের চাপে ফেলেছে। সত্যি কথা বলতে, আমরা চেয়েছিলাম নিজেদের জায়গাগুলোতে আরও ভালো খেলতে। তবে দিন শেষে পাকিস্তান ছিল যোগ্য দল। টুর্নামেন্টে আমরা ভালো ক্রিকেট খেলেছি। সুপার টুয়েলভে আমরা ভালো খেলেছি। আজ আমরা নিজেদের সেরাটা খেলতে পারিনি।’

আগে ব্যাটিং করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে ১৫২ রান তোলে নিউজিল্যান্ড। যেখানে শুরুতেই তিন টপ অর্ডার ব্যাটারকে হারিয়ে বিপাকে পড়েছিল দল। তবে ৫৩ রান করে দলকে লড়াই করার মতো পুঁজি এনে দেন ড্যারেল মিচেল। কিউই অধিনায়ক বলেন, ‘শুরুতেই আমরা চাপে পড়ে গেছি। পাকিস্তান দারুণ বল করেছে। মিচেলের অবিশ্বাস্য ইনিংসে কিছুটা মোমেন্টাম ফিরে পেয়েছিলাম। অর্ধেক ম্যাচ শেষে আমরা ধারণা করেছিলাম, এটা লড়াইয়ের মতো সংগ্রহ। উইকেট কিছুটা কঠিন ছিল।’

অর্থসূচক/এমএইচ/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.