সাকিব ক্লিয়ারলি নট আউট: টম মুডি

আম্পায়ার আড্রিয়ান হোল্ডস্টক আঙুল তুলতে খানিকটা সময় নিলেও রিভিউ নিতে দেরি করলেন না সাকিব আল হাসান। স্পষ্টভাবে বল ব্যাটে লাগলেও টেলিভিশন আম্পায়ার ল্যাংটন রুসেরে বহাল থাকলেন হোল্ডস্টকের এলবিডব্লিউয়ের সিদ্ধান্তে। গোল্ডেন ডাক মেরে ফিরলেন সাকিব, বিতর্কিত সিদ্ধান্তে তাসের মতো ভেঙে গেল বাংলাদেশের ব্যাটিং ইউনিট।

দ্রুত রান তুলতে না পারলেও বাংলাদেশকে বেশ ভালোভাবেই এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছিলেন সৌম্য সরকার এবং নাজমুল হোসেন শান্ত। তবে শাদাব খানের স্লোয়ার ডেলিভারিতে রিভার্স সুইপ খেলতে গিয়ে বিপত্তি ঘটান সৌম্য। একাদশে ফেরার ম্যাচে আউট হয়েছেন ২০ রানে। সৌম্য ফেরার পরের বলে গোল্ডেন ডাক মেরেছেন সাকিব। শাদাবের ফুলার লেংথ ডেলিভারিতে খানিকটা ডাউন দ্য উইকেটে এসে ফ্লিক করতে চেয়েছিলেন বাংলাদেশের টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক। তবে ব্যাটে-বলে টাইমিংটা ঠিকঠাক করতে পারলেন না অভিজ্ঞ এই ব্যাটার। শাদাবের বল সাকিবের ব্যাটে লেগে আঘাত হানে বুটে। আবেদন করলেও খানিকটা সময় নিতে সাকিবকে এলবিডব্লিউ আউট দেন অন ফিল্ড আম্পায়ার হোল্ডস্টক।

তৎক্ষণাৎ রিভিউ নেন সাকিব। টিভি রিপ্লেতে স্পষ্ট দেখা যায় বল ব্যাটে লেগেছে। আল্ট্রা এজে দেখা মিলে সেটির প্রমাণও। তাতে খানিকটা হাসি ফুটে বাংলাদেশের ক্রিকেট সমর্থকদের মাঝে। তবে পরোক্ষণেই বদলে যায় দৃশ্যপট। টিভি রিপ্লেতে যে এজ দেখা যায় সেটা ব্যাট এবং মাটির ধরে নিয়ে অন ফিল্ড আম্পায়ারের সিদ্ধান্তে বহাল থাকেন ল্যাংটন। আমলে নেয়া হয়নি তিন মিটারের নিয়মও। তাতেই শুরু হয় বিতর্ক।

টিভি আম্পায়ারের এমন সিদ্ধান্ত কোনভাবেই মেনে নিতে পারছিলেন না সাকিব। যে কারণে অসন্তোষ নিয়ে আম্পায়ারের সঙ্গে সাকিবকে কথা বলতে দেখা যায়। তবে কাজে আসেনি সাকিবের সেই আলাপচারিতা। তৃতীয় আম্পায়ারের সিদ্ধান্ত মেনে নিয়ে শূন্য রানে সাজঘরে ফিরতে হয় বাংলাদেশের অধিনায়ককে। সাকিবের মতো এই সিদ্ধান্ত মানতে পারছেন না টম মুডিও।

অস্ট্রেলিয়ার সাবেক ক্রিকেটার বলেন, ‘আমি টেলিভিশনে যা দেখেছি তাতে সেটা ক্লিয়ারলি নট আউট। অবশ্যই এটা আউট সাইড এজ ছিল। কোনভাবেই ব্যাট মাটিতে লাগেনি। এখানে দ্বিধাদ্বন্দ্বের কিছু নেই। ব্যাটের এজ থেকেই শব্দটা এসেছে। এটা নট আউট না দেয়াটা আমাকে অবাক করেছে।’

ভারতের বিপক্ষেও ম্যাচের দুটি সিদ্ধান্ত নিয়েও বেশ আলোচনা-সমালোচনা হয়েছে। পুরোপুরি বাংলাদেশের বিপক্ষে গিয়েছিল। বিরাট কোহলি ফেইক ফিল্ডিং করার পরও ভারতকে ৫ রান পেনাল্টি দেননি আম্পায়াররা। শুধু তাই নয়, বৃষ্টি হওয়ার পর মাঠ শুকানোর আগেই শুরু করা হয়েছিল খেলা। সুযোগ পেলে উপযুক্ত জায়গায় ফেইক ফিল্ডিং নিয়ে অভিযোগ করবে বলে জানিয়েছিলেন, বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) ক্রিকেট অপারেশন্সের চেয়ারম্যান জালাল ইউনুস। পাকিস্তানের বিপক্ষে সাকিবের ঘটনা নিয়ে বাংলাদেশ আইসিসির কাছে যাবে বলে মনে করেন জহির খান।

ভারতের সাবেক এই পেসার বলেন, ‘এটা দেখে মনে হয়েছে আউট হয়নি। আমি নিশ্চিত, বাংলাদেশ এটা নিয়ে আইসিসির কাছে অভিযোগ করবে। হক-আই প্রযুক্তি নিয়েও কথা হবে। রেফারেল আরও সাধারণ করতে হবে। আপনার সামনে যখন এরকম প্রমাণ থাকবে, থার্ড আম্পায়ারকে আরও বেশি সচেতন হতে হবে। তিন মিটারের এই নিয়ম অনেক শঙ্কা সৃষ্টি করে। এই ব্যাপারগুলো আরও ভালোভাবে পর্যবেক্ষণ করা উচিত। বলটা দেখে মনে হয়েছে, এটা লেগস্পিন। রেফারেল দেখে মনে হয়েছে এটা গুগলি। এটা যদি লেগস্পিনই হয়, বল যদি গ্রিপ করে, তাহলে এটা লেগ স্টাম্পের হালকা বাইরে দিয়ে গিয়েছে। এটা অবশ্যই বিতর্কের সৃষ্টি করবে।’

অর্থসূচক/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.