রিজার্ভ নামবে ২৫ বিলিয়ন ডলারে!

দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ নিয়ে উদ্বেগ কমছে-ই না। থামছে না আলোচনা ও বিতর্ক। এর মধ্যেই উদ্বেগ বাড়ানোর নতুন আভাস দিচ্ছে এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়নের (আকু) সম্ভাব্য পেমেন্ট। ওই পে-মেন্টের পর রিজার্ভ এক ধাপে অনেকটুকু নেমে যেতে পারে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাবে বর্তমানে রিজার্ভ আছে ৩ হাজার ৫৮৫ কোটি ডলার। আইএমএফের হিসাবে রিজার্ভ ২ হাজার ৭০০ কোটি ডলারের কিছু বেশি। তবে আগামী সপ্তাহে এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়নের (আকু) ১ দশমিক ৫০ বিলিয়ন ডলার আমদানি বিল পরিশোধ করা হবে। এতে আইএমএফের মানদণ্ডে রিজার্ভ কমে দাড়াবে সাড়ে ২৫ বিলিয়ন ডলারে।

বাংলাদেশ ব্যাংক ও আইএমএফের চলমান বৈঠকগুলোতে রিজার্ভের হিসাব নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়। জানা গেছে, রপ্তানি উন্নয়ন তহবিলের (ইডিএফ) সরবরাহ করা ৭ বিলিয়ন ও শ্রীলঙ্কাকে দেওয়া ২০ কোটি ডলার রিজার্ভে দেখাচ্ছে। এছাড়া গ্রিন ট্রান্সফরমেশন ফান্ড (জিটিএফ) ২০ কোটি, লং টার্ম ফিন্যান্সিং ফ্যাসিলিটি (এলটিএফএফ) তহবিলে ৩ কোটি ৮৫ লাখ, সোনালী ব্যাংকের মাধ্যমে বাংলাদেশ বিমানকে ৪ কোটি ৮০ লাখ এবং ইন্টারন্যাশনাল ইসলামিক ট্রেড ফাইন্যান্স করপোরেশনের (আইটিএফসি) আমানত রিজার্ভে দেখাচ্ছে।

আইএমএফের প্রতিনিধি দল বলেছে, বর্তমানে রিজার্ভ দেখানো হচ্ছে ৩৫ দশমিক ৮৫ বিলিয়ন ডলার বা ৩ হাজার ৫৮৫ কোটি ডলার। সেখান থেকে ৮ দশমিক ৪০ বিলিয়ন ডলার বাদ যাবে। আইএমএফের এই শর্ত মেনে নিতে বাংলাদেশ ব্যাংক সম্মত হয়েছে বলে জানা গেছে। সে হিসাবে রিজার্ভ কমে হবে ২৭ বিলিয়ন ডলার বা ২ হাজার ৭০০ কোটি ডলারের কিছু বেশি।

জানা গেছে, চলতি সপ্তাহে আকু’র ১ দশমিক ৫০ বিলিয়ন ডলার আমদানি বিল পরিশোধের পর তা নেমে আসবে ২৫ দশমিক ৫০ বিলিয়ন ডলারে। গত মাসে প্রায় ৭ বিলিয়ন ডলারের পণ্য আমদানি হয়েছে। সেই হিসাবে এই রিজার্ভ দিয়ে তিন মাসের কিছু বেশি সময়ের আমদানি ব্যয় মেটানো সম্ভব। আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুযায়ী একটি দেশের কমপক্ষে তিন মাসের আমদানি ব্যয় মেটানোর সমপরিমাণ রিজার্ভ থাকতে হয়।

চলতি ২০২২-২৩ অর্থবছরের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত রিজার্ভ থেকে ৪৮৯ কোটি ডলার বিক্রি করেছে আর্থিক খাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ ব্যাংক। গত বছরের আগস্টে সর্বোচ্চ রিজার্ভ উঠেছিল ৪ হাজার ৮০০ কোটি ডলারে।

এদিকে অক্টোবরে রেমিট্যান্স এসেছে ১৫২ কোটি ৫৪ লাখ মার্কিন ডলার। যা গত ৮ মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন। এক মাসের ব্যবধানে রেমিট্যান্স কমেছে ১ কোটি ৪১ লাখ ডলার। সেপ্টেম্বরে রেমিট্যান্স এসেছিলো ১৫৩ কোটি ৯৫ লাখ ডলার।

অর্থসূচক/এমএইচ

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.