ঋণখেলাপিদের বড় ছাড় দেয়া সার্কুলারের ৪টি ধারার বৈধতা প্রশ্নে রুল

চলতি বছরের শুরুতে ঋণখেলাপিদের বড় ছাড় দিয়ে সার্কুলার জারি করেছিলো বাংলাদেশ ব্যাংক। আর্থিক খাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থাটির দেওয়া সার্কুলারের চারটি ধারা (৪, ৫, ৬ ও ৯) কেন অবৈধ হবে না, সেটি জানতে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। সংশ্লিষ্টদের আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

মঙ্গলবার (১৮ অক্টোবর) বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রুল জারি করেন। এদিন আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মনজিল মোরসেদ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন। তার সঙ্গে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল শ্রী তুষার কান্তি রায়।

একই সঙ্গে বেসরকারি ব্যাংকগুলোর লোন মনিটরিং নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের ক্ষমতা খর্ব করা কেন অবৈধ নয় সেটিও জানতে চেয়েছে হাইকোর্ট। আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে মন্ত্রিপরিষদ সচিব, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব, অর্থ মন্ত্রণালয়ের সচিব, আইন, বিচার সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরসহ সংশ্লিষ্ট আটজনকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

এর আগে ঋণখেলাপিদের বড় ছাড় দিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের জারি করা সার্কুলারের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে মানবাধিকার ও পরিবেশবাদী সংগঠন হিউম্যান রাইটস পিস ফর বাংলাদেশ (এইচআরপিবি)। অর্থসচিব ও বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরসহ সংশ্লিষ্টদের রিটে বিবাদী করা হয়।

গত ১৮ জুলাই ঋণখেলাপিদের বড় ছাড় দিয়ে সার্কুলার জারি করে বাংলাদেশ ব্যাংক। ব্যাংক খাতে স্থিতিশীলতা বজায় রাখা এবং শ্রেণিকৃত ঋণের সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার যুক্তি দেখিয়ে ঋণখেলাপিদের ওই ছাড় দেওয়া হয়।

অর্থসুচক/এমএইচ/এমএস

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.