মাদকদ্রব্য আমদানি ঠেকাতে ব্যাংকগুলোকে কঠোর নির্দেশ

আইন লঙ্ঘন করে কিছু অসাধু ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান লেটার অব ক্রেডিটের (এলসি) মাধ্যমে মাদকদ্রব্য আমদানি করছে। এমন পরিস্থিতিতে সংশ্লিষ্ট অধিদপ্তরের লাইসেন্স ছাড়া মাদকদ্রব্য আমদানির এলসি না খোলার জন্য ব্যাংকগুলোকে কঠোর নির্দেশনা দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

বুধবার (১২ অক্টোবর) বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রা নীতি বিভাগ এ নির্দেশনা জারি করে বৈদেশিক মুদ্রার লেনদেনে নিয়োজিত ডিলার ব্যাংকগুলোকে পাঠানো হয়েছে।

নির্দেশনায় বলা হয়, কিছু অসাধু ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান আইন অনুযায়ী লাইসেন্স না নিয়ে ব্যাংকের এলসির মাধ্যমে বিদেশ থেকে মাদকদ্রব্য আমদানি করে বাজারজাত করছে। এতে সরকার বড় অংকের রাজস্ব হারাচ্ছে। এছাড়া মাদকের অপব্যবহার বাড়ছে। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের লাইসেন্স, পারমিট, অনাপত্তি বা পূর্বানুমতি ছাড়া মাদকদ্রব্য আমদানির জন্য এলসি ইস্যু না করতে ব্যাংকগুলোকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগ, মাদক-১ শাখা হতে ইস্যু করা নির্দেশনা অনুযায়ী, অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ এ বিষয়ে সার্কুলার জারি করে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক গত ২৬ সেপ্টেম্বর এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে ব্যাংকগুলোকে নির্দেশ দেয়।

এর আগে ২১ সেপ্টেম্বর মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে বলা হয়, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন, ২০১৮ (সংশোধিত-২০২০) এর ১ম তফশিলে “ক” “খ” ও “গ” শ্রেণির মাদকদ্রব্য অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। আইনের ৯, ১০ ও ১১ ধারা অনুযায়ী মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের লাইসেন্স ব্যতীত তফশিলে বর্ণিত মাদকদ্রব্যসমূহ আমদানি, সংরক্ষণ, ব্যবহার, গুদামজাতকরণ, সরবরাহ, বিপণন, ক্রয়, বিক্রয়, উৎপাদন ও প্রক্রিয়াজাতকরণ, বহন, পরিবহন ও স্থানান্তরের কোনো সুযোগ নেই।

এমন অবস্থায় মাদকদ্রব্য স্থল, আকাশ বা সমুদ্রপথে আমদানির কারণে কোনো ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের অনুকূলে তফসিলি ব্যাংক থেকে এলসি ইস্যু না করার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংককে অনুরোধ করেছে অধিদপ্তর। এরই পরিপ্রেক্ষিতে লাইসেন্স ছাড়া মাদকদ্রব্যের আমদানি এলসি না খোলার নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

অর্থসূচক/এমএইচ/এমএস

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.