৩১ ট্রিলিয়ন ডলার ছাড়ালো যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় ঋণ

প্রথমবারের মতো ৩১ ট্রিলিয়ন ডলার ছাড়ালো যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় ঋণ। দেশটিতে যখন মূল্যস্ফীতি রেকর্ড ভাঙছে, সুদের হার ক্রমশ বৃদ্ধি করা হচ্ছে এবং অর্থনীতি অনিশ্চয়তার পথে হাটছে, ঠিক তখনই এই দুঃসংবাদ দিলো মার্কিন ট্রেজারি ডিপার্টমেন্ট।

মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে বলা হয়, ইতিহাসে প্রথমবারের মতো ৩১.১ ট্রিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় ঋণের পরিমাণ।

এই অবস্থার উন্নতির জন্য আমেরিকান প্রেসিডেন্ট সম্প্রতি মুদ্রাস্ফীতি হ্রাস আইনে স্বাক্ষর করেছেন। বাইডেন প্রশাসন ঘাটতি কমানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।

অর্থনীতিবিদরা বলছেন, মার্কিন সরকারের এবারের ঋণের পরিমান সংবিধিবদ্ধ সর্বোচ্চ সীমার কাছাকাছি পৌঁছেছে। কংগ্রেস এখন কৃত্তিম মার্কেট ক্যাপিটেলের উপর দাড়িয়ে রয়েছে। ঋণের বড় পরিমানের জন্য উচ্চ মুদ্রাস্ফীতি ও ক্রমবর্ধমান সুদের হার বৃদ্ধি পেয়েছে। যা কিনা আমেরিকার অর্থনীতিকে দুর্বল করে দিচ্ছে।

অর্থনীতিবিদরা জানায়, এবারের ঋণর মাত্রায় উদ্বেগের কারণ রয়েছে। বিগত ৪০ বছরে ভিতর এটি সর্বোচ্চ।

সিএনএন জানিয়েছে, গত বছর যখন জো বাইডেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন তখন এই ঋণের পরিমাণ ছিল ২৭.৭৫ ট্রিলিয়ন ডলার।

এক টুইটারে টেক্সাসের রিপাবলিকান কংগ্রেসম্যান চিপ রয় বলেন, মাত্র পাঁচ বছর পূর্বেই এই ঋণ ছিল ২১ ট্রিলিয়ন ডলার। ২০১৭ সালে ট্রাম্প যখন দায়িত্ব গ্রহণ করেন, তখন এই ঋণ ছিল ১৯.৯৪ ট্রিলিয়ন ডলার। ধারণা করা হচ্ছে, কোভিড-১৯ মহামারি মোকাবেলা করতে গিয়েই অতিরিক্ত ঋণ নিতে হয়েছে বাইডেনকে।

দেশটির মোট ঋণের বড় অংশটিই বেসরকারি খাতের থেকে নেয়া। ৩১ ট্রিলিয়নের ২৪ ট্রিলিয়ন ডলার ঋণই নেয়া হয়েছে বেসরকারি খাত থেকে। অপরদিকে সাত ট্রিলিয়ন ডলার নেয়া হয়েছে বিদেশী সরকারগুলো থেকে।

অর্থসূচক/এএম/এমএস

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.