ফের ডলারের দামে অস্থিরতা খোলা বাজারে

খোলা বাজারে ডলারের দাম আবারও বৃদ্ধি পেয়েছে। আজ কার্ভ মার্কেট বা খোলা বাজারে ডলার কিনতে গুণতে হচ্ছে ১১৪ টাকা ৭০ পয়সা। ডলারের দর স্বাভাবিক পর্যায়ে আনতে বিভিন্ন উদ্যোগ নিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

এমন অবস্থায় সেপ্টেম্বরের শেষ কার্যদিবসেও খোলা বাজারে ডলারের দামে ছিলো অস্থিরতা। বৃহস্পতিবার (২৯ সেপ্টেম্বর) পল্টনের বাজারগুলোতে ১১৬ টাকা ৩০ পয়সায় ডলার বিক্রয় করা হয়। পল্টন ও মিতিঝিলের মানি এক্সচেঞ্জ হাউজগুলো ঘুরে এ তথ্য জানা যায়।

বৈশ্বিক সংকটের প্রভাব দেশের অর্থনীতিতেও পড়েছে। দেশে প্রধান সমস্যা হিসেবে ধরা দেয় ডলারের দাম বৃদ্ধি। ডলারের এমন অস্থিরতার মধ্যে খোলা বাজার ও ব্যাকগুলোতে সরেজমিনে পরিদর্শন করে বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিদর্শক দল। তারা যাচাই করে ফরেন এক্সচেঞ্জ ও ট্রেজারি বিভাগের নথি, ডলার সংগ্রহের অনলাইন ও নগদে বেচা-কেনার তথ্য।

এছাড়া সম্প্রতি বাংলাদেশ ব্যাংকের পরামর্শে ব্যাংকের শীর্ষ নির্বাহীদের সংগঠন অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স বাংলাদেশ (এবিবি) ও বাংলাদেশ ফরেন এক্সচেঞ্জ ডিলারস অ্যাসোসিয়েশনের (বাফেদা) শীর্ষ নেতারা এক সভায় বিভিন্ন লেনদেনে ডলারের সর্বোচ্চ দাম নির্ধারণ করেন।

এতে রপ্তানি আয়ে ডলারের দাম ৯৯ টাকা ও প্রবাসী আয়ে সর্বোচ্চ ১০৮ টাকা নির্ধারণ করা হয়। ফলে ডলার সংগ্রহে গড়ে সর্বোচ্চ খরচ হয় ১০৩ টাকা ৫০ পয়সা। এ ক্ষেত্রে আমদানিকারকদের কাছ থেকে প্রতি ডলারের দাম সর্বোচ্চ ১০৪ টাকা ৫০ পয়সা নিতে পারবে।

আর্থিক খাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ ব্যাংকের বিভিন্ন উদ্যোগের পরেও খোলা বাজারে ডলারের দাম নিয়ন্ত্রন করা যাচ্ছেনা। এসব খুচরা বাজারে প্রতিনিয়ত বেশি দামে ডলার বিক্রি করা হচ্ছে। ডলারের এই মূল্য ক্রেতাদের ক্রয় ক্ষমতার বাহিরে চলে যাচ্ছে।

পল্টনের ডলার বিক্রেতা মাহফুজুর রহমান লিটন অর্থসূচককে বলেন, আজকে মানি এক্সচেঞ্জগুলো ১১৪ টাকা ৭০ পয়সায় ডলার বিক্রি করছে। এছাড়া ডলার ক্রয় করছে ১১৪ টাকা ৫০ পয়সায়। গত কয়েকদিন ধরে এই দরেই খুচরা বাজারে ডলার বিক্রি করা হচ্ছে।

এখানকার আরেকজন বিক্রেতা জানান, সেপ্টেম্বরের শেষ কার্যদিবেস বৃহস্পতিবার পল্টনের মানি এক্সচেঞ্জগুলোতে ডলার বিক্রি হয় ১১৬ টাকা ৩০ পয়সায়। সেই তুলনায় চলতি মাসে ডলারের দাম কিছুটা কমেছে।

এদিকে মঙ্গলবার (৪ অক্টোবর) বাংলাদেশ ব্যাংকের বিদায়ী নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র সিরাজুল ইসলাম ডলারের বর্তমান পরিস্থিতি বিষয়ে বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের বিভিন্ন উদ্যোগে ডলারের দাম স্বাভাবিক হচ্ছে। বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে বাজারে কোনো ডলার সাপোর্ট দেওয়া উচিত না।

তিনি আরও বলেন, ডলারের সংকট নিরসন ও প্রবাসী আয় বাড়াতে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো নিজেরাই বসে ডলারের দাম নির্ধারণ করছে।

অর্থসূচক/এমএইচ/এমএস

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.