কনফিডেন্স সিমেন্টের চেয়ারম্যান রেজাউল করিমের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত সিমেন্ট খাতের কোম্পানি কনফিডেন্স সিমেন্ট লিমিটেডের চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার রেজাউল করীমের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন বরিশালের অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম আদালত। অর্থ আত্মসাত সংক্রান্ত একটি মামলায় রোববার (২ অক্টোবর) এই পরোয়ানা জারি করা হয়।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।
সূত্র জানিয়েছে, আলোচিত মামলায় ইঞ্জিনিয়ার রেজাউল করিম জামিনে ছিলেন। রোববার বরিশালের অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম শামীম আহমেদ জামিন বাতিল করে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আদেশ দেন।
রেজাউল করিমের বিরুদ্ধে ৪ কোটি ৩৮ লাখ টাকা আত্মসাতের মামলাটি করেছিলেন নগরের রূপাতলী হাউজিং এলাকার বাসিন্দা এমদাদুল হক সুরুজ মোল্লা। গত ২৭ মার্চ কনফিডেন্স গ্রুপের চেয়ারম্যান রেজাউল করীমসহ আটজনের নামে মামলাটি করা হয়।
অভিযুক্তরা এর আগে আদালতে হাজির হয়ে জামিন নেন। তবে রোববার মামলার নির্ধারিত দিনে রেজাউল করীম আদালতে অনুপস্থিত থাকায় তাঁকে জামিন না দিয়ে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা দিয়েছেন বিচারক।

মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে, বরিশালে একটি নদীতীর সংরক্ষণে ব্লক ফেলানোর জন্য পানি উন্নয়ন বোর্ডের দরপত্রে ৩০ কোটি টাকার কাজটি পায় কনফিডেন্স গ্রুপের প্রতিষ্ঠান জুডিয়াক ড্রেজিং লিমিটেড। কাজটি বাস্তবায়নের জন্য চুক্তির মাধ্যমে সাব কন্টাক্ট্র নেন সুরুজ মোল্লা। তাঁর দাবি, শর্ত অনুযায়ী কাজ শেষ করার সময় মূল ঠিকাদার কনফিডেন্স গ্রুপের কাছে তাঁর ১৯ কোটি ১২ লাখ টাকা বকেয়া পড়ে। পরবর্তীতে ১৪ কোটি ৭২ টাকা পরিশোধ করা হলেও ৪ কোটি ৩৮ লাখ টাকা দিতে অস্বীকার করেন গ্রুপের চেয়ারম্যান রেজাউল করীম। এ কারণে তিনি মামলাটি করেন।

উল্লেখ, ইঞ্জিনিয়ার রেজাউল করিম কনফিডেন্স গ্রুপেরও চেয়ারম্যান। সিমেন্ট ছাড়াও এই গ্রুপের রয়েছে টেক্সটাইল, বিদ্যুৎ, রঙ, ইস্পাত, অবকাঠামো ব্যবসা।

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.