দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা

আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এতে বলা হয়েছে- দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ ২০২৩ সালের ডিসেম্বর কিংবা ২০২৪ সালের জানুয়ারিতে হবে। ২০২৩ সালের নভেম্বরের পর তফসিল ঘোষণা করা হবে।

বুধবার (১৪ সেপ্টেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে নির্বাচন ভবনের অডিটরিয়ামে রোডম্যাপের মোড়ক উন্মোচন করেন চার নির্বাচন কমিশনার, ইসি সচিব ও ইসির অতিরিক্ত সচিব। তবে অসুস্থতার কারণে এতে উপস্থিত ছিলেন না প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল।

সিইসির অনুপস্থিতিতে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. আহসান হাবিব খান (অব.)। তিনি জানান, নির্বাচন কমিশনার অসুস্থতার কারণে এ অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকতে পারেননি। রোডম্যাপের একমাত্র উদ্দেশ্য হলো একটি অবাধ, সুষ্ঠু, গ্রহণযোগ্য ও সব দলের অংশগ্রহণে নির্বাচন আয়োজন করা।

এ ছাড়া নির্বাচন কমিশনার মোহাম্মদ আলমগীর বলেন, আগামী বছরের মার্চে ভোটার তালিকা প্রণয়ন এবং জুনে সংসদীয় এলাকার সীমানা পুনর্নির্ধারণের পরিকল্পনা রয়েছে। নির্বাচন নিয়ে আগামী মাসে আবারো অংশীজনদের সঙ্গে সংলাপে বসবে ইসি। রোডম্যাপ সুষ্ঠুভাবে বাস্তবায়ন করা গেলে আগামী নির্বাচন সুষ্ঠু হবে। এজন্য নির্বাচন সংশ্লিষ্ট সব স্টেকহোল্ডারদের সহযোগিতা প্রয়োজন।

কাজী হাবিবুল আউয়াল নেতৃত্বাধীন পাঁচ সদস্যের ইসি ফেব্রুয়ারিতে দায়িত্ব নেওয়ার দুই সপ্তাহের মাথায় দল, গণমাধ্যম, পর্যবেক্ষক সংস্থা, নির্বাচন পরিচালনা বিশেষজ্ঞ, ইভিএম কারিগরি বিশেষজ্ঞ, শিক্ষাবিদসহ নানা অংশীজনের সঙ্গে সংলাপ শুরু করে। সবার মতামত নিয়ে আইন সংস্কার, ইভিএমে ভোটগ্রহণের মতো গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তও নিয়েছে তারা। হালনাগাদ ভোটার তালিকায় তথ্য সংগ্রহের কাজ শুরু হয়েছে। নতুন দলের নিবন্ধনের আবেদনও নিচ্ছে। জনশুমারির প্রাথমিক প্রতিবেদন প্রকাশের পর চূড়ান্ত প্রতিবেদেনের অপেক্ষাও চলছে।

২০১৯ সালের ৩০ জানুয়ারি একাদশ সংসদের প্রথম অধিবেশন শুরু হয়। সে ক্ষেত্রে ২০২৩ সালের ১ নভেম্বর থেকে পরের বছরের জানুয়ারির মধ্যে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। ২০২৪ সালের ২৯ জানুয়ারির মধ্যে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন শেষ করার সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা রয়েছে।

অর্থসূচক/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.