ঢাকায় শুরু হচ্ছে ফুড এন্ড কেমিক্যাল ল্যাব এক্সপো

দেশের খাদ্য ও রাসায়নিক পণ্যের পরীক্ষাগার নেটওয়ার্কের সক্ষমতা বাড়িয়ে তুলতে মার্কিন কৃষি বিভাগের সহযোগীতাই ফুড এন্ড কেমিক্যাল ল্যাব এক্সপো-২০২২ করবে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ।

শনিবার ক্যাপিটাল মার্কেট জার্নালিস্টস ফোরামের (সিএমজেএফ) পল্টনস্থ নিজস্ব কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ। রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক কনভেনশন সেন্টারে ১১ সেপ্টেম্বর শুরু হবে এই মেলা। সবার জন্য উন্মুক্ত প্রদর্শনীটি সকাল দশটায় শুরু হয়ে সন্ধ্যা ছয়টা পর্যন্ত চলবে। ৩৮টি সরকারি বেসরকারি পরীক্ষাগার, ছয়টি যন্ত্রপাতি সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান দিনব্যাপী এ প্রদর্শনীতে অংশ নেবে।

বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান মো. আব্দুল কাইউম বলেন, বাংলাদেশ ট্রেড ফ্যাসিলিটেশন প্রকল্পের সঙ্গে সহযোগিতা ও সমন্বয়ের অংশ হিসেবে দিনব্যাপী এ প্রদর্শনীর আয়োজন করা হবে। এর উদ্দেশ্য হবে সারকারি বেসরকারি পরীক্ষাগারগুলোর একটি কার্যক্রম নেটওয়ার্ক সৃষ্টি করা, যাতে তার স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক ভোক্তাদের জন্য খাদ্য পণ্যের নিরাপত্তা ব্যবস্থাপনায় আরো সক্রিয় ভূমিকা রাখতে পারে।

বাংলাদেশ ট্রেড ফেসিলিটেশন প্রকল্পের পরিচালক মাইকেল জে পার বলেন, কৃষি পণ্য আন্তর্জাতিকভাবে বেগবান করতে পরীক্ষাগারগুলো যাতে নিজেদের সক্ষমতা ও ভূমিকা বাড়াতে পারে সেজন্য তাদের সহযোগিতা করে যাচ্ছেন তারা। পরীক্ষাগারগুলোর সেবা ও সক্ষমতা সম্পর্কে সেবা গ্রহীতারা না জানার কারণে অনেক সম্ভাবনা থাকা সত্ত্বেও স্থানীয় পরীক্ষাগারগুলোর সদ্ব্যবহার হচ্ছে না। এ প্রদর্শনী সরকারি বেসরকারি বিভিন্ন পরীক্ষাগারের সেবা সম্পর্কে সচেতনতা বাড়াবে। পাশাপাশি বেসরকারি পরীক্ষাগারগুলোর উপর আস্থা বিশ্বাস বাড়াতেও ভূমিকা রাখবে ।

নিরাপদ খাদ্য আধিদপ্তরের চেয়ারম্যান বলেন, দেশে খাদ্য পণ্য কৃষদের হাত থেকে ভেক্তার হাতে আসতে আনেক বড় চেইন পার করতে হয়। আর এই সময় ফুড সেফটি নিয়ে প্রশ্ন থেকে যায়। আমরা এখন যেসব খাদ্য পণ্য পাঠাচ্ছি সেগুলো বিদেশে অবস্থানরত

বাংলাদেশিদের কাছে এছাড়াও অনেক বড় ফরেন মার্কেট রয়েছে। আর এই বাজার পেত হলে আমাদের কিছু নিরাপত্তার মানদণ্ড পার করতে হবে। দেশের ল্যাবগুলো যে পরীক্ষা করে সে ক্ষেত্রে আমাদের কাছে তেমন কোন তথ্য নেই, কাদের কাছে কেমন সক্ষমতা আছে । আবার অনেক পরীক্ষা করতে দিয়ে দেখছি এমন কিছু রিএজেন্ট আছে যা দেশের কোন ল্যাবেই নেই।

আলু রপ্তানী নিয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, রাশিয়া আমাদের থেকে আলু নিতে চাই কিন্তু আমাদের আলুতে এক ধরণের জীবানু আছে, যা বাইরের ল্যাবে ধরা পড়েছে। এটা আমাদের মাটির সমস্যা, আমার বিদেশী জাত এনে এই সমস্যার সমাধান করতে বলেছি কৃষি বিভাগকে।

দেশের বাজারে খাবারের নিরাপত্তা নিয়ে জানতে চাইলে আব্দুল কাইউম বলেন, দেশের বাজারগুলো আমারা নিয়মিত পরীক্ষা-নিরিক্ষা চালাচ্ছি, আমাদের ভ্রাম্যমাণ পরীক্ষাগার রয়েছে। দেশে শাকসবজি ও ফলে যে ফরমালিনের কথা বলা হয় এটির সত্য নয়। ফরমালিন ফল ও সবজিতে কোন ক্ষতিকার প্রভাব ফেলে না। এর আগে ফরমালিনের অজুহাতে যে ফল নষ্ট করা হয়েছে সেটি ভুলছিলো।

আর্থসূচাক/এএম/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.