নারায়ণগঞ্জে পুলিশ-বিএনপির সংঘর্ষে নিহত ১

নারায়ণগঞ্জে বিএনপি নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ ও পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এ সময় গুলিতে শাওন নামে যুবদলের এক কর্মী নিহত হয়েছেন। এ সময় সাংবাদিক-পুলিশ ও বিএনপির অর্ধশতাধিক নোতকর্মী আহত হয়েছেন। এর মধ্যে কয়েকজন গুলিবিদ্ধ রয়েছেন।

বৃহস্পতিবার (১ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে শহরের ২নং রেলগেট এলাকায় এ সংঘর্ষ শুরু হয়। নিহত শাওন যুবদলের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন। তার বাবার নাম শাহেদ আলী।

বিষয়টি নিশ্চিত করে নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক নাজমুল হোসেন বলেন, হাসপাতালে আনার আগেই শাওন মারা যান। সদর হাসপাতালে মরদেহ রাখা হয়েছে বলে জানান তিনি।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সকালে বিএনপির নেতাকর্মী প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানের মিছিল নিয়ে বের হলে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষে বিএনপি নেতাকর্মীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে। পুলিশ রাবার বুলেট, টিয়ার শেল ও গুলি ছোড়ে।

জেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত আহবায়ক মনিরুল ইসলাম রবি বলেন, ‘আমি সহ দলের প্রায় পাঁচ শতাধিক নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। পুলিশ গুলি ছুড়েছে। আমি নিজেও গুলিবিদ্ধ হয়েছি। এই সংঘর্ষে যুবদলের শাওন নিহত হয়েছে। এ ছাড়াও আরও একজন মারা যাওয়ার খবর পেয়েছি, তবে তার নাম পাইনি। আরও অনেক নেতাকর্মী বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। বিএনপির প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে কর্মসূচি পালন করতে শহরের চুনকা পাঠাগার থেকে আমরা মিছিল নিয়ে বের হওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম। সে সময় পুলিশ এসে বাধা দেয়। পরে সেখান থেকে চলে আসার সময়ে শহরের ২নং রেল গেটের কাছে আসলে পুলিশ ফের বাধা দেয় ও লাঠিচার্জ করে। পরে তারা আমাদের লক্ষ্য করে গুলি ছুড়েছে এবং টিয়ারশেল নিক্ষেপ করেছে।’

নারায়ণগঞ্জ সদর থানার ওসি আনিচুর রহমান মোল্লা বলেন, ‘সংঘর্ষে পুলিশের অনেকে আহত হয়েছেন। আহতের সংখ্যা এই মুহূর্তে বলা সম্ভব নয়। আমরা ফিল্ডে আছি, তবে পরিস্থিতি এখন আমাদের নিয়ন্ত্রণে আছে।পরে বিস্তারিত বলতে পারবো।’

জানা যায়, ৪৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বিএনপি শোভাযাত্রা বের করতে গেলে পুলিশ বাধা দেয়। পরে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ শুরু হয়।

 

অর্থসূচক/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.