আফগানিস্তানের সামনে বাংলাদেশের নতুন চ্যালেঞ্জ

বাংলাদেশ দলের এশিয়া কাপের মিশন শুরু হচ্ছে আজ। প্রথম লড়াই আফগানিস্তানের বিপক্ষে। ম্যাচ শুরুর আগেরদিন অনুশীলনে আসেননি অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। যদিও নেটে লম্বা সময় ঘাম ঝরিয়েছেন মুশফিকুর রহিম-মাহমুদউল্লাহ রিয়াদরা। ম্যাচের আগেরদিন সংবাদ সম্মেলনে অধিনায়ক সাকিবের আসার কথা থাকলেও এসেছিলেন দলের টেকনিক্যাল কনসালটেন্টের দায়িত্ব পাওয়া শ্রীধরন শ্রীরাম।

অবশ্য ম্যাচের আগে তাদের নিয়ে আলাদা করে ভাবছে না বাংলাদেশ। শ্রীরাম বলেন, ‘আফগানিস্তান ভয়ঙ্কর দল। তারা শুধু রশিদ খানের উপর নির্ভরশীল নয়। আমরা সবাই জানি রশিদ খান বিশ্বের একজন বিখ্যাত টি-টোয়েন্টি বোলার। এটা অস্বীকার করার কিছু নেই। তবে শুধু রশিদ খান, মোহাম্মদ নবী ও ফজল হক ফারুকি বিষয় না, আমরা পুরো দলের বিপক্ষেই খেলার জন্য প্রস্তুত হচ্ছি।’

আইসিসির একাডেমী মাঠে গত কয়েকদিনের প্রস্তুতি দেখে একাদশ নিয়ে বেশ কিছু আঁচ পাওয়া গেছে। এর মধ্যে ওপেনিংয়ে এনামুল হক বিজয় ও নাইম শেখকে দেখা যেতে পারে। বিশেষ করে বিজয় প্রায় প্রতিদিনের অনুশীলনের লম্বা শটের প্রস্তুতি নিয়েছেন। তাকে নিয়ে নেটে জুটি বেধে ব্যাটিং করতে দেখা গেছে নাইমকে। সাকিব ও মুশফিকুর রহিম টপ অর্ডারে থাকছেন তা নিয়ে কোনো সন্দেহ নেই। যদিও পাঁচ, ছয় ও সাত নম্বরে কারা খেলবেন তা নিয়েই যত জল্পনা কল্পনা। সদ্য অধিনায়কত্ব হারানো মাহমুদউল্লাহ একাদশে জায়গা পেতেই পারেন শেষ সুযোগ হিসেবে।

দারুণ ফর্মে থাকা আফিফ হোসেন ধ্রুবর একাদশে থাকা নিঃসন্দেহে নিশ্চিত। তবে দীর্ঘদিন পর দলে ফেরা সাব্বির রহমান আফগানদের বিপক্ষে সুযোগ পাবেন কিনা সেটাই দেখার বিষয়। সাব্বির একাদশে সুযোগ পেলে জায়গা হারাবেন জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সর্বশেষ টি-টোয়েন্টিতে অধিনায়কত্ব করা মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত। অলরাউন্ডার হিসেবে হিসেবে মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন ও শেখ মেহেদী হাসানের খেলার জোর সম্ভাবনা রয়েছে। দলের বিশেষজ্ঞ দুই পেসার হতে পারেন মুস্তাফিজুর রহমান ও তাসকিন আহমেদ।

শারজাহর উইকেট বরাবরই স্পিন অথবা ব্যাটিং বান্ধবই হয়। তবে এই মাঠে প্রথম ম্যাচ বলেই তিন পেসার নিয়ে খেলার সাহসী সিদ্ধান্ত নিতেই পারে বাংলাদেশ। ম্যাচের আগেরদিন সংবাদ সম্মেলনে একাদশ নিয়ে ধোঁয়াশা রাখলেও ক্রিকেটারদের ইতোমধ্যে জানিয়ে দেয়া হয়েছে কারা কারা খেলছেন।

এশিয়া কাপের ঠিক আগেই অধিনায়ক হয়েছেন সাকিব। তার অধীনে এই দলটির সাম্প্রতিক সময়ে সীমিত ওভারের ম্যাচে খেলার সুযোগ হয়নি। এ ছাড়া ইনজুরির কারণে দলে নেই লিটন দাস ও নুরুল হাসান সোহানের মতো নিয়মিত ক্রিকেটার। তাই আফগানদের বিপক্ষে লড়াইয়ের সঙ্গে নিজেদের কম্বিনেশনটা ঠিক করাও বাংলাদেশের জন্য আরেক চ্যালেঞ্জ হবে। এই আফগানদের বিপক্ষেই হতে পারে বাংলাদেশের নতুন শুরু।

অর্থসূচক/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.