আমাদের সবার চার-ছক্কা মারার সামর্থ্য আছে: এনামুল হক

দলের সব ক্রিকেটারেরই চার-ছক্কা হাঁকানোর সামর্থ্য আছে বলে বিশ্বাস এনামুল হক বিজয়ের। আসন্ন এশিয়া কাপে দলগতভাবে ভালো পারফরম্যান্স করতে বদ্ধ পরিকর বাংলাদেশ দলের এই ওপেনার। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে প্রায় সময়ই বাংলাদেশের ব্যাটারদের পাওয়ার হিটিং সামর্থ্য নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। এই সংস্করণে ব্যাটাররা ভালো ফলাফল না করতে পারায় বরাবরই আতশি কাঁচের নিচে রাখা হয় পাওয়ার হিটিংয়ে ব্যর্থতাকে।

বিশ্বের অন্যান্য দেশগুলো যখন পাওয়ার হিটিংয়ের পাশাপাশি নতুন নতুন উদ্ভাবনী শট চর্চায় ব্যস্ত, তখন বাংলাদেশের ব্যাটাররা ক্রমাগত ব্যর্থ হয়ে চলেছে। তবুও বিজয়ের বিশ্বাস পাওয়ার হিটিংয়ে পিছিয়ে নেই বাংলাদেশ। তার মতে, ‘আমি প্রায় ১০ বছর ধরে বিপিএল খেলছি, বাংলাদেশের হয়েও খেলেছি। আমার কাছে মনে হয়েছে, আমাদের যে মেধা আর পরিশ্রম তাতে পাওয়ার হিটিংয়ের চেয়ে পরিকল্পনা বেশি জরুরি। কেউ বলতে পারবে না দলের কেউ চার-ছক্কা মারতে পারে না বা সামর্থ্য নেই। শতভাগ সামর্থ্য নিয়েই বাংলাদেশ দলে খেলতে হয়। সবারই পাওয়ার হিটিংয়ের, চার-ছক্কা মারার কোয়ালিটি আছে। আমরা কোন বোলারকে পিক করব, কোন বোলারের বলে সিঙ্গেলস বের করব, কখন মারা উচিৎ কখন মারা উচিৎ না এসব বুঝতে হবে। ব্যাটারদের সবাই-ই কমবেশি মারতে পারে। তাদের নিজস্ব সময় দেওয়া উচিৎ। ১০ বল হোক, ৩-৪ বল হোক। এরপর চেষ্টা করলে প্রত্যেক খেলোয়াড়ের চার-ছক্কা মারার সামর্থ্য আছে।’

টি-টোয়েন্টিতে একটানা ব্যর্থ হওয়ায় বাদ দেয়া হয়েছে হেড কোচ রাসেল ডমিঙ্গোকে। নতুন কাউকে হেড কোচ পদবি না দিলেও টি-টোয়েন্টি দলের দায়িত্ব পেয়েছেন শ্রীধরন শ্রীরাম। তিনি আরও বলেন, ‘আমার মনে হয় না ক্রিকেটারদের হতাশ হওয়ার কিছু আছে। প্র্যাকটিসের মাধ্যমে উন্নতি সম্ভব। আশা করি এই কোচ, সাকিব ভাইর অধীনে আমরা যথেষ্ট উন্নতি করব পাওয়ার হিটিংয়ে। এটা প্রক্রিয়ার বিষয়, একদিনে হয়ে যাবে না। ৩ মাসে হবে, ৬ মাসে হবে। সবাই শতভাগ চেষ্টা করবে উন্নতি করার।’

অর্থসূচক/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.