‘মূল্যস্ফীতি ১০ শতাংশ ছাড়িয়ে যাওয়ার আশঙ্কা’

পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (পিআরআই) নির্বাহী পরিচালক ও বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ড. আহসান এইচ মনসুর বলেছেন, বৈদেশিক মুদ্রার বাজারে যে অস্থিরতা বিরাজ করছে, সেটি হয়তো নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে তবে সামনে যে বড় ধাক্কা আসবে সেটা হলো মূল্যস্ফীতি। জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির প্রভাবে আগামী মাসে মূল্যস্ফীতি ১০ শতাংশ হবে।

রবিবার (২১ আগস্ট) ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরাম (ইআরএফ) আয়োজিত “বাংলাদেশের অর্থনীতিতে নতুন চ্যালেঞ্জ” শীর্ষক এক আলোচনা সভায় ড. আহসান এইচ মনসুর এ আশঙ্কা প্রকাশ করেন।

আহসান এইচ মনসুর বলেন, মূল্যস্ফীতি মোকাবিলায় আমাদের তেমন কোনো পলিসি নেই, এটি নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হবে না, কারণ আমরা নয়-ছয় পলিসিতে বাধা। ওভারভ্যালু একচেঞ্জ রেট পলিসির কারণে এখন বৈদেশিক মুদ্রার বাজারে অস্থিরতা বিরাজ করছে। সরকার ওভারভ্যালু একচেঞ্জ রেট পলিসি করে আসছে। এটা আজকে শুধু নয়, দীর্ঘ সময় ধরে হয়ে আসছে। আমরা অনেক আগে থেকেই বলে আসছি, এটা সমন্বয় করার জন্য; কিন্তু তা করা হয়নি।

তিনি বলেন, ১৮ মিলিয়ন ডলার কারেন্ট অ্যাকাউন্ট ব্যালেন্স নেগেটিভ। বাণিজ্য ঘাটতি ৩৩ মিলিয়ন ডলার, এটা একদিনে হয়নি। ১২ মাসে লেগেছে। প্রতি মাসেই বেড়েছে। কিন্তু তেমন কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। এক্সচেঞ্জ রেট এখন নেমে এসেছে, আশা করছি এটা স্থিতিশীল হয়ে যাবে। তবে সামনে বড় ধাক্কা আসবে মূল্যস্ফীতি।

আগামী দিনে মূল্যস্ফীতি আরও বাড়ার আশঙ্কা প্রকাশ করে পিআরআই এই নির্বাহী পরিচালক আরও বলেন, চলতি বছর পর্যাপ্ত ধানের উৎপাদন হবেনা ফলে চালের উপরে এর প্রভাব পড়বে। ব্যবসায়ীদেরকে দোষারোপ করে লাভ হবে না। প্রয়োজন হলে সরকারকে আমদানি আরও বাড়াতে হবে। এটা নিয়ে সরকারকে এখনই ভাবতে হবে।

অর্থসূচক/এমআর

 

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.